সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ হবে: পলক


সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হবে। এই হাইটেক পার্কগুলো তৈরি হলে দেশের বেকার সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। আর সিলেটে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্ক নির্মাণ শেষে এখানে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কের আইটি বিজনেস সেন্টার এবং ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন : ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে সিলেট হাইটেক পার্কে

এসময় হাইটেক পার্ক পরিদর্শন শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের জানান, দেশে প্রতি বছর ৩.৫ কোটি মোবাইল ফোন এবং ৫ লাখ ল্যাপটপ আমদানি করতে হয়। যার জন্য খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে দেশেই মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ উৎপাদন সম্ভব হবে। ফলে দেশের সাশ্রয় হবে ১ বিলিয়ন ডলার।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান ও পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সচিব হোসনে আরা বেগম (এনডিসি), সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, প্রকল্প পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া, প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সরকারের রূপকল্প ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক এবং সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১শ’ ৬২ দশমিক ৮৩ একর জমির ওপর এই পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রায় ১শ’ ৩৪ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬ টাকা ব্যয়ে দেশের দ্বিতীয় হাইটেক পার্কটি নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অ্যাপ্রোচ রোড, প্রশাসনিক ভবন, বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন এবং ফাইবার অপটিক সংযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিটির আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের আগে থেকেই ইলেকট্রিক সিটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়।এতে বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও যন্ত্রাংশ উৎপাদন করা হবে জানা যায়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পণ্য বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।এছাড়াও নির্মাণ করা হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আইসিটি পার্ক ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্লান্ট।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2s6ES2o

February 04, 2018 at 05:05PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top