সুরমা টাইমস ডেস্ক :: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবরণকে এখন অনেকটা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া এই মামলা সংশ্লিষ্ট না। অথচ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ভবিষ্যত বিএনপির জন্য ইতিবাচক। কারণ এতে খালেদা ও বিএনপি গণমানুষের সহমর্মিতা ও সমর্থন বেড়েছে।
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
দলের নেতারা দাবি করেন, নেত্রীকে মিথ্যা, বানোয়াট, জাল-জালিয়াতি ও ভিত্তিহীন মামলায় রাজনৈতিকভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি কোনো সহিংস আন্দোলন না করে কৌশল বজায় রেখেছে। এভাবে জেলে থেকেও গণমানুষের ও বিদেশি বন্ধুদের সহানুভূতি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি প্রধান জেলে যাওয়ার আগে ও পরে কোনো ধরনের জনমত জরিপ না করলেও জনসমর্থন বাড়ছে বলেই দাবি করেছেন কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকার ছক এঁকেছিল দাবি করে দলটির নেতারা বলেছেন, জনসমর্থনে সে ছক ভেস্তে গেছে। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, মামলার রায়ের দিন ধার্য হওয়ার পর সরকার দলীয় ও বিএনপি নেতাদের পরস্পর উচ্চ বাচ্য জনমনে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন’ কৌশলে সেই পরিস্থিতি সামালে নিয়েছে।
তারা বলেন, কোনো ধরনের কঠোর কর্মসূচি বা হরতাল অবরোধের মতো কিছু দেয়নি দলটি। আর এই অবস্থাই হচ্ছে বিএনপির জন্য ইতিবাচক ও সরকারের চরমভাবে নৈতিক পরাজয়।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকার নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছে। এতে শুধু দেশে নয় বহির্বিশ্বেও সমর্থন বেড়েছে।
একই কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মির্জা আব্বাস। তার মতে, খালেদা জিয়া বন্দি মানে গণতন্ত্র বন্দি। সরকারকে ধন্যবাদ-আমরা খালেদা জিয়াকে দেশনেত্রী বানিয়েছিলাম, সরকার তাকে নেলসন মেন্ডেলা বানিয়ে দিয়েছে।
কারাগারে যাওয়ায় খালেদা জিয়া আরও শক্তিশালী হয়েছেন দাবি করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় নেতা থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) এখন আন্তর্জাতিক নেতা হয়েছেন। এ হিসেবে বর্তমান অবস্থা দলের জন্য ইতিবাচক।
একই কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদও। তার ভাষায়, ‘চেয়ারপারসনকে জেলে দিয়ে বিএনপির জনসমর্থন আরও বেড়েছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় নিপীড়িত মানুষের পক্ষে থাকে। এবারও খালেদার পক্ষে আছেন।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ বছরের দণ্ড পেয়েছেন খালেদাপুত্র তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2HcYu8z
February 14, 2018 at 01:10PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন