চট্রগ্রাম, ৩১ জানুয়ারি- মুমিনুল হককে সেঞ্চুরির পর হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে স্বাভাবিক ঢঙেই উদযাপন করতে দেখা যায়। স্বভাবে বেশ লাজুক বলেই হয়তো। কিন্তু বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি তোলার পর চেনা ঢঙে দেখা যায়নি লিটল মাস্টারকে। উল্লাসের ধরন ছিলো কিছুটা বুনো। চার বছর পর সেঞ্চুরি পেলেন বলেই কি? কিন্তু নেপথ্যের ঘটনা সেটা নয়। আর এ ঘটনাটা খুব ভালো করেই জানেন সতীর্থরা। সংবাদ সম্মেলনে তামিমও বললেন সে কথা। গত বছরের ঘটনা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের শততম টেস্ট। বেশ উৎসব উৎসব পরিবেশ। কিন্তু সে উৎসব কাঁটা হয়ে বিঁধেছিল মুমিনুলের। ক্যারিয়ারের প্রথমবার টেস্ট একাদশ থেকে বাদ পরেন। আর তার কারিগর তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অথচ দলে টেস্ট স্পেশালিষ্ট খেতাবটা তিনিই দিয়েছিলেন মুমিনুলকে। দেশের হয়ে মাইলফলকের টেস্ট না খেলতে পারার আক্ষেপটা কোনভাবে ঘোচাতে পারবেন মুমিনুল? বছর ঘুরতেই বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে হাথুরু এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। তাই হয়তো হাথুরুর শ্রীলঙ্কাকে দেখিয়ে দেওয়ার আলাদা তাগিদ অনুভব করেছেন মুমিনুল। তাদের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতো আলাদা গুরুত্বই বহন করে। করলেনও। এমনকি ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবলের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন সেঞ্চুরিতে উদযাপনটা বুনো না হলে কি হয়। তামিমের কথায় এমন কিছুরই ইঙ্গিত মিললো, মুমিনুলের কিছু প্রমাণের ছিলো এবং সেটা সে করেছে। আমার কাছেও দেখে ভালো লাগছে। আমি জানি কেন সে এটা (উদযাপন) করেছে। উদযাপনের খবরটা জানেন তামিম। কিন্তু তার আগে কেবল মুগ্ধ নয়নে উপভোগ করেছেন মুমিনুলের ব্যাটিং। তামিমের ভাষায়, আমার কাছে মনে হয় মুমিনুলের ইনিংসটা ছিলো মুগ্ধকর। প্রথমেই সে আক্রমণাত্মক ছিলো এবং সেভাবেই পুরো ইনিংস খেলে গেছে। যখন সে ১০০ করে তখন তার স্ট্রাইকরেট ছিলো ১০৩! আর প্রথম দিনে ও ওর উইকেটটা নষ্ট করেনি। অনেক সময় দেখা যায় ব্যাটিং উইকেটে বেশি উত্তেজিত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে অনেকে আউট হয়ে যায়। ও সেটা করেনি। ও জানতো ওর উইকেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আরও পড়ুন: ব্যান্ডেজ হাতে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সাকিব প্রথম দিন শেষে ১৭৫ রানে অপরাজিত আছেন মুমিনুল। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল ছুঁতে দরকার আর ২৫ রান। তবে মুমিনুল এর চেয়েও অনেক বেশি কিছু করবেন বলেই প্রত্যাশা করছেন তামিম, মুমিনুল নট আউট আছে, আশা করি সে আরো অনেক দূর যাবে। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তার (মুমিনুল) কিছু প্রমাণ করার ছিলো এবং সে সেটা দারুণভাবে করেছে। হাথুরু যুগের শুরু থেকেই তার রোষানলে পড়েছেন মুমিনুল। তিন সংস্করণে খেলা এ ক্রিকেটারকে টেস্টের ট্যাগ লাগিয়ে তিনি বাদ দেন ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি থেকে। এক সময়ে তাকে টেস্টেও অনিয়মিত করে দেন হাথুরু। প্রচণ্ড চাপে থাকা এ ক্রিকেটার তখন যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। তবে হাথুরুর বিদায়ের পর ব্যাট হাতেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি কোন মাপের খেলোয়াড়। আর সেঞ্চুরির উদযাপনটা ছিল বাড়তি। সূত্র: পরিবর্তন আর/১০:১৪/৩১ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2E0yVcf
February 01, 2018 at 05:56AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন