কলকাতা, ০৬ ফেব্রুয়ারি- দুর্ঘটনার দুদিন পর চিংড়িঘাটার পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারসহ সরকারি আধিকারিকরা৷ সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ চিংড়িঘাটায় যান কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল৷ পথচারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সেখানে চিংড়িঘাটা এলাকায় ওভারব্রিজ তৈরি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা৷ এই সঙ্গে এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সচল রাখতে সাইকেল আরোহীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করার বিষয়েও এদিন আলোচনা হয় বেল খবর৷ ওভারব্রিজ অথবা আন্ডারপাস তৈরি করে রাস্তার উপর চাপ কমানোর বিষয়েও একাধিক বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে৷ এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও চাঙ্গা করতে ও পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন বিধায়ক সুজিত বসু, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ(ট্রাফিক) সুমিত কুমার ও বিধাননগর কমিশনারের (ডিসি ডিডি) ও জোন ওয়ানের ডিসি সবরি রাজকুমার৷ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে বসেন বিধাননগর পুরসভা, কমিশনারেট, কেএমডিএ, কলকাতা পুলিশ ও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা৷ বৈঠকে দুটি ফুট ওভার ব্রিজ, ফুটপাথ চওড়া করা ও চিংড়িহাটা মোড়ে নতুন সিসিটিভি বসানোসহ বেশকিছু বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয় বলে বিধাননগর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে৷ তবে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখনই ওই রাস্তায় পারাপারের জন্য আন্ডারপাস তৈরির সম্ভব হচ্ছে না৷ কারণ, মেট্রোর কাজ চলায় বেশ কিছু প্রতিকূলতা রয়েছে৷ এদিন আন্ডারপাস তৈরির জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন করা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ গত শনিবার পথদুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে চিংড়িঘাটা৷ সিগনাল ভেঙে একটি বাস সেক্টর ফাইভের দিকে এগনোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই যুবককে ধাক্কা মারে৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুই যুবকের৷ প্রতিবাদে বাসটি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা৷ এরপরেই বেশ কয়েকটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় পুলিশ৷ অভিযোগ পুলিশকে ঘিরে ইটবৃষ্টি শুরু করেন এলাকাবাসী৷ পালটা উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্য করে পুলিশ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, চিংড়িঘাটা এলাকায় পুলিশের তোলাবাজির জেরেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিংড়িঘাটায় নামানো হয় ব়্যাফ৷ চিংড়িঘাটা বাস দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক লক্ষ্মণ সামন্তকে ইতিমধ্যেই আটদিন ও বাসে আগুন লাগানোর অভিযোগে ধৃত দিলীপ মাইতিকে পাঁচদিনের জন্য জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর আদালতের বিচারক৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় বাসচালক লক্ষ্মণ সামন্তের বিরুদ্ধে ২৭৯, ৩০৪ ও ৪২৭ ধারায় মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ বাসে আগুন লাগানোর অভিযোগে দিলীপ মাইতির বিরুদ্ধে ১৪৩, ১৪৫, ১৪৬ সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশ৷ আরও খবর: রাজ্যে দাঙ্গা লাগাতে চাইছে বিজেপি : মমতা চিংড়িঘাটায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে গত রবিবার থেকেই সতর্কতা মূলক অভিযান শুরু হয়েছে৷ সোমবারও ঘটনাস্থল পরির্দশন ও দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক পদক্ষেপের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ এআর/১০:২৪/০৬ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BejZp8
February 06, 2018 at 04:22PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন