খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

সুরমা টাইমস ডেস্ক::           জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গুলশান এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গুলশান-২ গোলচক্করে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গুলশান-২ থেকে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না।

গণমাধ্যমের কর্মীদের গাড়িও গোলচক্করে রেখে যাওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। গোলচক্কর থেকে ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে বিপরীত দিকে রাস্তায় অবস্থান নিচ্ছেন গণমাধ্যমের কর্মীরা। সেখান থেকেই তাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন।

একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হতে পারেন। খালেদা জিয়ার বাসার ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর আইনজীবী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন ভেতরে ঢুকেছেন।

এদিকে, রাজধানীর অন্যসব এলাকার মতো গুলশান এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে তল্লাশির পর যেতে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই এটা করা হচ্ছে বলে সেখানে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।  বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এদিকে সকালে আদালত চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকে যেসব আইনজীবীর নাম নিবন্ধিত ছিল, শুধু তাঁদেরই আদালতে ঢুকতে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর প্রতিটি গণমাধ্যম থেকে একজন করে সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে শুধু রিপোর্টার ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন, ক্যামেরাপারসন যেতে পারছেন না।

এদিকে, আদালত চত্বরে কোনো টিভি চ্যানেলকে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আদালত চত্বরে ছবি তোলা বা ভিডিও করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

একনজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

  • রমনা থানায় ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।
  • মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদ।
  • এজাহারে টাকা আত্মসাতের (ঘটনার) সময়কাল হিসেবে ১৩ই নভেম্বর ১৯৯৩ হতে ২৮শে মার্চ ২০০৭ সালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
  • ২০১০ সালের ৫ই আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
  • মামলার কার্যদিবস ২৬১ দিন ।
  • খালেদা জিয়া হাজিরা দেন ৪৩ দিন।
  • খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আট দিন।
  • গত ২৫শে জানুয়ারি ২০১৮ রায়ের দিন ধার্য করেন বিশেষ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
  • রায়ের দিন ধার্য ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮।


from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2C4khvx

February 08, 2018 at 01:59PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top