নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছাইচাপা আগুনে মশাল জ্বলে না, মশাল জ্বালানোর জন্য দরকার হয় আগুনের। হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সাংবাদিক ইলিয়াস আরাফাতের কাছে সেই আগুন আছে। চারপাশের সমাজকে আলোকিত করতেই তিনি আবির্ভূত হলেন।
গল্পগ্রন্থ ‘সকালের অন্ধকার’ বইটি পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা বই মেলায় সৌহরাওয়ার্দী উদ্যোনে বলাকা প্রকাশনের ৬৩৭ নম্বর স্টলে। রাজশাহীতে পাবেন নিউ মার্কেটের ‘বুক সেন্টার’ বইয়ের দোকানে। যশোরে গরীব শাহ সড়কের বকুলতলায় ‘কিতাব ঘর’ বইয়ের দোকানে। সিলেটের জিন্দাবাজারে ৫ রাজা ম্যানশনের নীচ তলায় পশ্চিম পাশের গলিতে সানি লাইব্রেরীতে।
তার ভাষ্য, যখনই সমাজের বিষবৃষ্টি গায়ে পড়ে তখনই লিখতে ইচ্ছে করে। লেখার বৃষ্টি দিয়ে সেই বিষ ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করি। এ দেশের প্রতিটি বালুকণার কাছে তিনি ঋণী। আর সেই ঋণ শোধের দায়বদ্ধতা থেকেই লেখালেখি করেন।
বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, আত্মপ্রচারের এই মহামারীকালে সবাই যখন গ্রন্থপ্রকাশের উচ্চাভিলাষে মত্ত, তখন এই মেধাবী তরুণ পদ্মাপাড়ের নির্জনে-নিভৃতে নিপুণ দক্ষতায় তার শিল্পীসত্তার সৌধ নির্মাণ করে চলেছেন।
এবারই প্রথম প্রকাশিত ইলিয়াস আরাফাতের গল্পগ্রন্থ ‘সকালের অন্ধকার’। প্রথম বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার প্রথম বই আমার প্রথম সন্তান।’
স্কুলজীবনে কবিতা দিয়েই শুরু ইলিয়াস আরাফাতের লেখালেখি। তারুণ্যের দিনগুলোতে প্রচুর লিখেছেন। তবে প্রকাশের আলোয় আসেনি সেসব লেখা। জীবন-জীবিকার জন্য তার কলম সক্রিয় হয়ে ওঠে অন্য খাতে। হয়ে উঠেন সাংবাদিক।
বলা হয়, নিউজ হচ্ছে দ্রুততম সাহিত্য। সেই সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে মূল ধারায় তার কখনও ভাটা পড়েনি। তবে প্রকাশের বেদনায় চাপা পড়েছিল গতি। সেই গতিই এবার বেগবান করার চেষ্টা। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে এসেছেন ইলিয়াস আরাফাত। মাঝখানে জীবন-জীবিকার জন্য সে স্বপ্ন হয়ে পড়েছিল প্রচ্ছন্ন। এখন সময় এসেছে সবকিছু সামনে আনার।
লেখকের রাজশাহীতে জন্মস্থান হলেও গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার শুড়িপুকুর গ্রামে। ১৬ বছর বয়সে পরিবারসহ রাজশাহীতে চলে আসেন। তারপর থেকে সেখানেই বসবাস।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন তিনি। এরপর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স। পেশায় শিক্ষক পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2ECL1Fx
February 19, 2018 at 02:16PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন