কলকাতা, ০৪ ফেব্রুয়ারি- বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমের বোঝাপড়া আছে বলে অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বৃহস্পতিবার নোয়াপাড়া বিধানসভা ও উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়েছে। বিপুল ভোটে হেরেছে বিজেপি। রাজস্থানেও উপনির্বাচনে বিজেপি ধরাশায়ী। সেই সব প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুক্রবার তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশে মমতার বক্তব্য, রাজস্থানে হেরে ভূত। এখানে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস তিনটে দল মিলিত ভাবেও আমাদের ধারেকাছে পৌঁছতে পারবে না। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, বিজেপিকে ২০১৯ সালে দূরবীণ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মমতা বলেন, একমাত্র তৃণমূলই বিজেপি-বিরোধিতা করে। তাই তার দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করার চক্রান্ত চলছে। অথচ কংগ্রেস বা সিপিএমের কারও গায়ে আঁচ লাগছে না। এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যে তৃণমূল একা চলবে। এ দিনও সেই সুরেই মমতা জানিয়ে দেন, তৃণমূল একা চলতে রাজি। কারও কাছে মাথা নত করবে না। কোনও ব্ল্যাকমেলের শিকার হবে না। তৃণমূল মানুষ ছাড়া আর কারও ধার ধারে না। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, দেশে ২৮টি রাজ্যেও যদি বিজেপি থাকে, বাংলায় তারা কিছু করতে পারবে না। ২০১৯, বিজেপি ফিনিশ। যা শুনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আর কয়েক দিন অপেক্ষা করুন, ওর চারপাশের সবাই জেলে থাকবেন, উনিই একা হয়ে যাবেন। দেখা যাবে কে কাকে ফিনিশ করে! আরও খবর: বেশ করেছি নেচেছি, আবার নাচব বিজেপিকে ফিনিশ করার ডাক দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর মনে যে সারদা-নারদ আতঙ্ক এখনও রয়েছে, তা স্পষ্ট তাঁর বলা ব্ল্যাকমেল তত্ত্বেই। বিরোধীরা মনে করছেন, সিবিআই, ইডির ফাঁড়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি। বিজেপি সেই জুজু দেখিয়েই মমতার আক্রমণাত্মক মেজাজকে ভোঁতা করার ছক কষতে পারে। তাই এ দিন তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ, দলটাকে চোখের মণির মতো করে পাহারা দিতে হবে। দুর্নীতির অভিযোগ যাতে না ওঠে, সে ব্যাপারে বারবার করে সতর্ক করে কর্মীদের তিনি বলেন, লোভ সংবরণ করা রাজনীতির বড় হাতিয়ার। যারা লোভ সংবরণ করতে পারে, তাদের আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসি। বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়াতে এ দিনও কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করে মমতা বলেন, এটা বাজেট না রোবট! ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার আতঙ্কে বাম্বু বাজেট করেছে! এই বাম্বুর কার্যকারিতা নিয়ে কটাক্ষ করে মমতার মন্তব্য, যে প্রতিবাদ করবে, তাকে কি এক হাতে ঝান্ডা অন্য হাতে বাম্বু দিয়ে পেটানো হবে? বাজেটে কৃষক ও সাধারণ মানুষের সুরাহার কোনও দিশা নেই বলে অভিযোগ করে মমতা বলেন, কৃষকদের ঋণ পুরো মকুব করবে ভেবেছিলাম। কৃষকের ঋণ মকুব না হলে তাদের আয় বাড়বে কী ভাবে? গোবর-ধন প্রকল্পেরও সমালোচনা করে মমতার তির্যক মন্তব্য, ব্যাঙ্কে গোবর ফিক্সড ডিপোজিট হবে নাকি! এ তো দেখছি, গোবর নাকি ধন! এই নিয়ে চলেছে বিজেপি জনার্দন! সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন আর/১২:১৪/০৪ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2FHEY2n
February 04, 2018 at 06:16AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top