ভালোবাসা দিবসে শামীম ওসমান নিজেই জানালেন তার প্রেম কাহিনী………


সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান এখন বেশ প্রভাবশালী। কিন্তু তাকে প্রেম করতে হয়েছে বেশ ধকল পেয়ে। কারণ প্রেমটা তার সহজ ছিল না। প্রিয় প্রেমিকাকে পেতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। সহজেই ধরা না দেওয়ায় শামীম ওসমানকে ‘তাবিজ কবজ’ করা সহ অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু প্রতাপশালী শামীম ওসমানের সেই প্রেম কাহিনীর কথা জানতো না অনেকেই। সেই প্রেম কাহিনীর আদ্যোপান্ত অবশেষে বর্ণনা করলেন তিনি। জানিয়েছেন কিভাবে সালমা আক্তার লিপির সঙ্গে প্রেম করেছেন; দেখা করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় সালমা আক্তার লিপির সঙ্গে প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া সহ তার মন জয়ের জন্য কবিরাজের সহায়তা এবং বন্ধুদের সহযোগিতার কথা। শুধু তাই নয় বোমা, গুলি, হামলা মামলা এসব কিছু ভয় না পেলেও লিপি ওসমানের কাছে ভীতু ছিলেন বলেনও জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তার প্রেমকাহিনী সম্পর্কে বলেন। শামীম ওসমান বলেন, ‘‘আমি কোন দিন ভয় পাই না। এ কলেজে একদিন ভয় পাইছিলাম; মারাত্মক পাইছি। ভয় পাইয়া, এমন ভয় পাইলাম, ভয় পাইয়া এক দৌড় দিয়ে এ কলেজের প্রিন্সিপালের রুমে চলে গেছি। আমারে গুলি করছে আমি ভয় পাই না; আমার উপরের বোমা মারছে আমি ভয় পাই না। পুলিশ ধরতে আসছে ভয় পাই না। সেনাবাহিনী ধরতে আসলে ভয় পাই না। কিন্তু সেইদিন ভয় পাইছিলাম। কারণ আমার পেছনের যে মহিলা (স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি) বসে আছে আমি ওনার পিছে পিছে একটু ঘুরতাম। বেশি চান্স দিত না। যেহেতু চান্স দেয় নাই বহুত ত্যাড়া মহিলা ছিল। এজন্য পিছে একটু বেশিই ঘুরতাম।

একটা পর্যায়ে ঘুরতে ঘুরতে ভাবলাম যে চান্স যখন দিলো না এটারেই বিয়া কইরাম। কিন্তু আমার বাসায় বাবা ছিল খুব কঠিন মানুষ। ভাইয়েরা আমাকে খুব শাসন করতো। আমি যখন তোলারাম কলেজের ভিপি। তখনও মাগরিবের নামাজের পর বাসায় ঢুকতে পারতাম না। মাগরিব পড়ার সাথে সাথে আমাকে বাসায় যেতে হবে এবং হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসতে হবে। আমি যত বড় যত কিছুই হই না কেন। আমার এ দুঃখ আমার বন্ধু বান্ধবের ভাল্লেগে না। এই যে হাই হুতাশ করি আল্লাহরে কি করে একে পাওয়া যায়। এতে আমার বন্ধুদের সহ্য হইলো না। আমার দুই বন্ধু একটা মারোয়ারী আরেকটা বন্ধু আছে এখন কানাডায়।

ওরা বললো, আমার দুঃখে দুঃখিত হয়েছে। আমার কষ্টে কষ্টিত হয়েছে। ৮৫ বা ৮৬ সালের ঘটনা দেখলাম এতগুলি গোল মরিচ নিয়ে এসেছে। এরকম পাঁচ কেজি গোল মরিচ। আমি বললাম, কি বলে এগুলো গোল মরিচ। আমি বলি কি করতে হবে বলে সকাল বেলা সাতটা গোল মরিচ ফজরের নামাজের আগে উঠাইয়া চুলার মধ্যে ছেড়ে দিবি। তারপর কি হবে তারা বললো গোল মরিচ যখন জ্বলবে তখন ওর (সালমা লিপি) মন তখন আমার জন্য জ্বলে উঠবে। সাত দিন লাগবে বেটা তারপর দেখবি তোর জন্য দৌড়াইয়ে চলে আসবে। তাই বন্ধুর কথায় ট্র্যাই করতে অসুবিধা কি। প্রতিদিন সকাল বেলা উঠাই রান্না ঘরে চুলার মধ্যে গোল মরিচ পোড়াই। একদিন হঠাৎ করে পোড়ানোর সময় পিছনের চেয়ে দেখি বাবা পিছনের দাঁড়াইয়া আছে। বাবা জিজ্ঞাসা করে রান্না ঘরে কি করো। এর মধ্যে আমার গলা শুকিয়ে গেছে। বাবা বলছে কি করো টস টস করে আওয়াজ হচ্ছে কেনো। বলছি গোল মরিচ পোড়াচ্ছি। বলে কেন পোড়াচ্ছো। মিথ্যা করে বলি আব্বা আমারে এক ফকির বলছে ফজরের নামাজের আগে যদি এ গোল মরিচ পোড়ালে নাকি বাসার ভিতরে নাকি কোন খারাপ জিনিস আসতে পারবে না। আমাকে কাউকে জানাইতে মানা করছে। তারপর বলে তাহলে পোড়াও সমস্যা নাই। এরপর আন্দোলন লাগছে। একদিন মহিলা কলেজে ঢুকছি। ঢোকার পর ওই যে আমার বন্ধু বলছে দৌড় দিয়া আমার বাসায় চলে আসবে। আমার দিন শেষ বাসায় চলে আসলে আমার বাপ দিবো আমারে মাইর। তখনও আমার বিয়ের বয়স হয় নাই। কি করি! আমি ভাবছি মিথ্যা কথা হবে না। এ কলেজে আসছি বক্তৃতা দিতে। তখন কলেজে গেট ছিলো বন্ধ বাহির হতে দিতো না মেয়েদের। এরা দেখছে আমি ঢুকছি ওনি (লিপি ওসমান) ওনার বান্ধবীরা দেখছে আমি ঢুকছি। আমি তখন পপুলার ছাত্র নেতা ছিলাম। আমি ঢুকছি তাই অবশ্যই কলেজের গেট খুলতে হবে। কলেজের গেট যেই না খোলছে ইনারা কলেজের কোনা থেকে দৌড় দিছে তখন আমি ভয় পেয়ে গেছি। আমি এক দৌড়ে প্রিন্সিপালের রুমে আর ওনারা যার ভয়ে দৌড় দিলাম ওনারা ডান দিক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2EFHWYc

February 14, 2018 at 02:56PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top