সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ :: ডিসেম্বরের বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ার পর ৩য় দফায় গাছ মরে যাওয়া ও পোকাড় আক্রমণ কাল হয়ে দেখা দিয়েছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সবজি চাষিদের।
কৃষি বিভাগের বিষমুক্ত সবজি চাষ প্রকল্পের কৃষকের সবজি ক্ষেতও রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এ তালিকায়।
একের পর এক লোকসানের মূখে পড়ে দুচোখে অন্ধকার দেখছেন উপজেলার অন্তত ১৫ গ্রামের কয়েক শতাধিক কৃষক। দুই দফা চারা রোপন করেও কাঙ্কিত ফসল না পেয়ে হতাশা তারা।
জানা যায়, উপজেলায় ৭ হাজার ৪৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়। এর মধ্যে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে ৩শ’ ২০ হেক্টর জমির সবজি। আর নষ্ট হওয়ার পথে রয়েছে প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির সবজি।
এর মধ্যে লাউ, বাঁধা কপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, শসাসহ সবধরণের সবজি গাছের ফুল ঝরে পড়ছে। এছাড়াও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফল ও ছাড়া গাছ। কোনকোনটি আবার লালচে রং ধারণ করেছে। সেই সাথে পুকাড় আক্রমনে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে কৃষকদের।
উপজেলার উবাহাটা, কাচিশাইল, জিকুয়া, গোপালপুর, হাঁসার গাঁও, বালিহাড়ি, নয়াগাঁও, কলিমপুর ও শীমুল তলাসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের কয়েক শতাধিক কৃষক পরিবার এমন ক্ষতির সমূখিন হয়েছেন।
দুই দফা ছাড়া রোপন করেও কোন ফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। কৃষকদের দাবি সবজি চাষে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তাও তাদের উঠবে না। ফলে তাদেরকে গুণতে হবে লাখ লাখ টাকার লোকসান।
এ ব্যাপারে কৃষক শাহিনার আলম জানান, ‘প্রথম অবস্থায় বৃষ্টির পানিতে তার সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। পরে তিনি আবারও বিভিন্ন ধরণের সবজির চারা রোপন করেন। কিন্তু এখন আবার চারাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
জহির মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে কপি ও মরিচের চারা মরে যাওয়ার পর নতুন করে বীজতলা তৈরি করেন। কিন্তু ফল আসার সাথে সাথে এখন আবার সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে পোকায় আক্রমণ করেছে।
তাদের মতে, শীতকালীন সবজি উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে। সেই সাথে আগামী বছর সবজি চাষ থেকে কিছুটা দূরে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় চাষি আবুল কালাম জানান, একের পর এক লোকসানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঋণগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছেন তারা।
চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ব্রজবাগি দেবনাথ নিমাই জানান, বৃষ্টির কারণে এবার আগাম শীতকালীন সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সবজি ক্ষেত।
তিনি বলেন- কৃষি অফিস থেকে সবজি চাষিদের সর্বাত্তক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাছাড়া, অবস্থা থেকে উত্তরণের নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2BIAURx
February 06, 2018 at 02:07PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন