কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে সংঘর্ষে ২৬ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২৬ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম ও ছাত্রাবাস থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

একইসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো নিষিদ্ধসহ সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল হান্নান এবং সাবেক সভাপতি ও অষ্টম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান পলাশ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।

বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ২৬ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে ৩ বছরের জন্য, নয়জনকে ২ বছরের জন্য এবং ১৪ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি আরও ১৮ জনকে সতর্ক করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাওয়াত আররাজ, ৫ম বর্ষের হাসিবুল হক অর্ণব, একই বর্ষের শেখ আসিফ মাহমুদ।

২ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন ৫ম বর্ষের কাজী জুয়েল, ইফতেখার হাসান, রাব্বী হোসেন, ৫ম বর্ষের (পুরনো) পলাশ সরকার, রিয়াদ হোসেন, ২য় বর্ষের পিয়াল দেব চৌধুরী, ফয়সাল আমিন, নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, জয়দীপ চৌধুরী। ১ বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ৫ম বর্ষের দীপ্ত দত্ত, স্বপন কান্তি দাশ, ৪র্থ বর্ষের সাখাওয়াত হোসেন, ৫ম বর্ষের আরিফুল ইসলাম, সাব্বির মাহমুদ, ৩য় বর্ষের শাহ মুহাম্মদ নাজমুচ সাকিব, ২য় বর্ষের ইয়াহিয়া মাসুদ, ৩য় বর্ষের দেবজিৎ ঘোষ, ৪র্থ বর্ষের সৌমিত্র আচার্য্য, ৫ম বর্ষের মাহির হোসেন, ৩য় বর্ষের মাশরুখ আরাফাত রিসান, রায়হানুজ্জামান, ৫ম বর্ষের মিজানুর রহমান ও তানভীর জামান।

এদিকে সাজাপ্রাপ্ত ছাত্রদের ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। কলেজের ডা. শাহআলম বীর উত্তম ছাত্রাবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রাবাসেও পুলিশি পাহারা রয়েছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মহসিন-উজ জামান চৌধুরী জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ওই সাজা দেয়া হয়েছে। অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না- এটা সবাইকে বুঝতে হবে। এখানে আমি কিংবা তদন্ত কমিটি কারো পক্ষাবলম্বন করেনি।



from Comillar Khabor – কুমিল্লার খবর http://ift.tt/2oy8MZi

March 01, 2018 at 11:20AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top