আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি মৌসুমে প্রচুর পরিমাণ মুকুল এসেছে। গাছের পর গাছ মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে। জেলাজুড়ে এখন যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই শুধু মুকুল আর মুকুল। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা সু-স্বাদু ও বাহারী জাতের আম উৎপাদনের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, উৎপাদনগত দিক থেকে এক সময় আমের ভাল ফলনের বছরকে ‘অন ইয়ার’ এবং কম ফলনের বছরকে ‘অফ ইয়ার’ বলা হতো। এখন আর সেই ধারার দেখা মিলেনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিবছরই ভাল ফলন হচ্ছে। এবছর শীত কেটে যাবার পর মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত তাপমাত্রা থাকায় আম গাছগুলো ব্যাপকভাবে মুকুলায়িত হয়। অনুকুল আবহাওয়া ও বালাই না থাকায় মুকুল এসেছে গতবছরের মতই। ওই সূত্র জানায়, জেলার ৫ উপজেলার ২৯ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর আমবাগানের প্রায় সাড়ে ২২ লাখ আম গাছে এখন পর্যন্ত ৯২ ভাগ মুকুল এসেছে। গতবছর যা ছিল ৮৮ ভাগ।
মুকুল আসার পর থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাজার হাজার চাষী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাগান পরিচর্যার কাজে। পোকা ও বালাই দমনে গাছে গাছে চাষীরা স্প্রে করার পাশাপাশি গাছের গোড়ায় পানি দিচ্ছেন। আর কিছুদিন পরই গাছে গাছে ঝুলতে দেখা যাবে ল্যাংড়া, খিরসা, রানীভোগ, মোহনভোগ ও ফজলিসহ নানা জাতের সুমিষ্ট আম। এবছর শীতের প্রকোপ বেশি থকায় মুকুল কিছুটা দেরিতে আসলেও আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫০ বিঘার আম চাষী সাদরুল ইসলাম বলেন, ‘ কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এখন গাছে গাছে স্প্রে করছি আর গাছের গোড়া খুড়ে পানি দিচ্ছি। আগে সার দিয়েছিলাম। এখন গাছের অবস্থা, মুকুলের অবস্থা খুবই ভাল। রোগ বালাইও তেমন নাই’। এবার আবহাওয়া খুবই ভাল আছে। সব মিলিয়ে ভাল মুকুলে চাষীরা ভাল ফলনের আশা করছেন। তিনি আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরার বরন্দ্র এলাকায় এবার কৃষি বিভাগের উদ্ভাবিত নতুনজাতগুলোতেও ভাল মুকুল এসেছে। সব মিলিয়ে ভাল ফলন পাওয়া যাবে’।
আমচাষী আব্দুল হান্নান বলেন, ‘মুকুল দেখে আমরা খুবই খুশি। তবে আম ভাঙ্গার সময় সীমা গতবারের চেয়ে যদি এক সপ্তাহ এগিয়ে দেয়া হয় পাশাপাশি বিদেশে আম রপ্তানীর যদি সুযোগ সৃষ্টি হয় তবে চাষীরা এবার ভালই লাভ করবেন’।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গতবছর জেলায় আম বাগানের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর। গেলো এক বছরে জেলায় বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ৩শ ৬০ হেক্টরও জমি। গেলো বছর জেলায় আম উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা বলেন, ‘ অনুকুল আবহাওয়া আর আম চাষীদের সচেতনতার কারণে এবার ভালই ফলন আশা করা হচ্ছে। এবার যেহেতু মুকুল ভাল এসেছে। বাগানের পরিমাণও বেড়েছে। সেহেতু আম উৎপাদন আড়াই লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৩-০৩-১৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, উৎপাদনগত দিক থেকে এক সময় আমের ভাল ফলনের বছরকে ‘অন ইয়ার’ এবং কম ফলনের বছরকে ‘অফ ইয়ার’ বলা হতো। এখন আর সেই ধারার দেখা মিলেনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিবছরই ভাল ফলন হচ্ছে। এবছর শীত কেটে যাবার পর মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত তাপমাত্রা থাকায় আম গাছগুলো ব্যাপকভাবে মুকুলায়িত হয়। অনুকুল আবহাওয়া ও বালাই না থাকায় মুকুল এসেছে গতবছরের মতই। ওই সূত্র জানায়, জেলার ৫ উপজেলার ২৯ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর আমবাগানের প্রায় সাড়ে ২২ লাখ আম গাছে এখন পর্যন্ত ৯২ ভাগ মুকুল এসেছে। গতবছর যা ছিল ৮৮ ভাগ।
মুকুল আসার পর থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাজার হাজার চাষী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাগান পরিচর্যার কাজে। পোকা ও বালাই দমনে গাছে গাছে চাষীরা স্প্রে করার পাশাপাশি গাছের গোড়ায় পানি দিচ্ছেন। আর কিছুদিন পরই গাছে গাছে ঝুলতে দেখা যাবে ল্যাংড়া, খিরসা, রানীভোগ, মোহনভোগ ও ফজলিসহ নানা জাতের সুমিষ্ট আম। এবছর শীতের প্রকোপ বেশি থকায় মুকুল কিছুটা দেরিতে আসলেও আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫০ বিঘার আম চাষী সাদরুল ইসলাম বলেন, ‘ কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এখন গাছে গাছে স্প্রে করছি আর গাছের গোড়া খুড়ে পানি দিচ্ছি। আগে সার দিয়েছিলাম। এখন গাছের অবস্থা, মুকুলের অবস্থা খুবই ভাল। রোগ বালাইও তেমন নাই’। এবার আবহাওয়া খুবই ভাল আছে। সব মিলিয়ে ভাল মুকুলে চাষীরা ভাল ফলনের আশা করছেন। তিনি আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরার বরন্দ্র এলাকায় এবার কৃষি বিভাগের উদ্ভাবিত নতুনজাতগুলোতেও ভাল মুকুল এসেছে। সব মিলিয়ে ভাল ফলন পাওয়া যাবে’।
আমচাষী আব্দুল হান্নান বলেন, ‘মুকুল দেখে আমরা খুবই খুশি। তবে আম ভাঙ্গার সময় সীমা গতবারের চেয়ে যদি এক সপ্তাহ এগিয়ে দেয়া হয় পাশাপাশি বিদেশে আম রপ্তানীর যদি সুযোগ সৃষ্টি হয় তবে চাষীরা এবার ভালই লাভ করবেন’।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গতবছর জেলায় আম বাগানের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর। গেলো এক বছরে জেলায় বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ৩শ ৬০ হেক্টরও জমি। গেলো বছর জেলায় আম উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা বলেন, ‘ অনুকুল আবহাওয়া আর আম চাষীদের সচেতনতার কারণে এবার ভালই ফলন আশা করা হচ্ছে। এবার যেহেতু মুকুল ভাল এসেছে। বাগানের পরিমাণও বেড়েছে। সেহেতু আম উৎপাদন আড়াই লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৩-০৩-১৮
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2Ds11ZC
March 13, 2018 at 09:40PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন