কলকাতা, ১১ মার্চ- রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বাড়ছেই। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রের সমান ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই ঘোষণার পরে কেন্দ্র ফের ডিএ বাড়িয়েছে সম্প্রতি। সপ্তম বেতন কমিশন চালু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের ২২টি রাজ্য কেন্দ্রের সমান হারে ডিএ দিচ্ছে। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ক্ষমতায় এলে সেখানে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হবে। বিজেপির জয়ের পিছনে এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েছে বলে অনেক মনে করছেন। ত্রিপুরায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড় অংশের সমর্থন পেয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে বড় চাপ আগামী এক বছরের মধ্যে বকেয়া ডিএ দিয়ে দেওয়া। কিন্তু প্রবল আর্থিক চাপের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়। সম্প্রতি কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে বকেয়া বেড়ে হয়েছে ৪৫ শতাংশ। শুধু ডিএ নয়, রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন অনেক দূরের এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টই জমা পড়েনি। ২০১৫ সালের নভেম্বরে রাজ্যে অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে কমিশন গঠিত হয়। প্রথমে বলা হয় ছমাসের মধ্যে কমিশন রিপোর্ট পেশ করবে। কিন্তু দফায় দফায় দুবছর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সময় বেড়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। এখনও মামলার রায় ঘোষণা হয়নি তবে চাপে রয়েছে নবান্ন। এর মধ্যে নতুন বিপদ বাড়ছে। এতদিন বিরোধী কর্মী সংগঠনগুলিই চাপ দিচ্ছিল। বাম সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং কংগ্রেসের কর্মী ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে তৃণমূলের সরকারি কর্মী সংগঠনও। আরও পড়ুন: ফের ভাঙন! দল ছাড়লেন বহু নেতা-কর্মী এবার চাপ দিতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। কারণ, সংগঠনও সদস্যদের চাপে পড়ছে। রাজ্য সরকার আর্থিক চাপে রয়েছে, বাম আমলের ঋণের ভার বহন করতে হচ্ছে ইত্যাদি স্তোকবাক্যে আর কাজ হচ্ছে না। আগামী ২২ মার্চ কেন্দ্রীয় বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সংগঠন ডিএ ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের দাবি নিয়ে বৈঠকে বসবে। আর তার পরে নতুন করে চাপ বাড়তে পারে নবান্নের উপরে। তথ্যসূত্র: এবেলা এআর/২০:৩৩/১১ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2FsuzMp
March 12, 2018 at 02:32AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top