অটোয়া, ২৮ মার্চ- যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান স্বাধীনতার ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় নগরীর ঐতিহ্যবাহী Westin হোটেলে এক আনুষ্ঠানিক সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং লা ফাঙ্কোফোনি বিষয়ক মন্ত্রী মিজ মারি ক্লদ বিবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে অভ্যাগত অতিথিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ এবং কানাডার জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।অতঃপর, প্রধান অতিথির বক্তব্যে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং লা ফাঙ্কোফোনি বিষয়ক মন্ত্রী মিজ মারি ক্লদ বিবো নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ও বাল্যবিবাহ রোধে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।মন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে কানাডার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, বাংলাদেশ কানাডার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পার্টনার। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশর মধ্য আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সকল উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ কানাডাকে পাশে পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি তার কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের স্মৃতি চারন করে বাস্তুচূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং সামগ্রিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানান এবং এ ব্যপারে কানাডা সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অতঃপর, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্ম উৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্বশ্রধধ চিত্তে স্বরন করেন।তিনি প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সফল অগ্রযাত্রার গৌরবগাঁথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময় পরিক্রমায় দ্রুত অগ্রসরমান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে ২.৪ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।হাই কমিশনার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ কানাডা সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতির ব্যপার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।কানাডায় বসবাসকারী লক্ষাধিক বাংলাদেশি, যাঁরা দক্ষমানবসম্পদ হিসেবে কানাডার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন, তাঁদের প্রশংসা করে এদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করার ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আহবান জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের পর প্রধান অতিথি, কানাডার মন্ত্রী মিজ মারি ক্লদ বিবো, বাংলাদেশের হাইকমিশনার, এবং তাঁর সহধর্মিণী মিসেস নিশাত রহমান বাংলাদেশ-কানাডা দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক কামনা করে টোস্ট করেন। এরপর তাঁরা একত্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কেক কাটেন। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন হাইকমিশনের কাউন্সিলর মিজ ফারহানা আহমেদ চৌধুরী। কানাডার সংসদ সদস্য ও সিনেটরগণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, অটোয়ায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, নেতৃস্থানীয় কানাডীয় সমাজকর্মীবৃন্দ, শিল্পী-সাহিত্যিকগণ, বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী গবেষক এবং চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি চাকরিজীবী ও উদ্যোক্তা সহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বিশিষ্ট কানাডীয় নাগরিকগণ যোগদান করেন। আর/১৭:১৪/২৮ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Gg7xcd
March 28, 2018 at 11:25PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন