ঢাকা, ১২ মার্চ- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদের তৃতীয় ও শেষ শুনানি আজ। যথারীতি ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অটল শাকিব আজও আসবেন না শুনানিতে। সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই দেখে অপুও বিচ্ছেদ মেনে নিয়েছেন। গত বছরের ২২ নভেম্বর অপুকে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠান শাকিব। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তিন মাস পর কার্যকর হবে বিবাহ বিচ্ছেদ। সেই হিসাবে ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিবের বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হয়। তবে ওই সময় শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়নি বলে জানান ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সিটি করপোরেশন তাদের তিন মাসে তিনবার ডাকব, সেই তৃতীয়বার বিষয়টির ফয়সালা হবে। তিনি আরও জানান, আজ ১২ মার্চ তৃতীয় ও শেষবারের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। এদিন যদি তারা না উপস্থিত হন, তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যাবে। শাকিব সিদ্ধান্তে অটল থাকায় আজই কার্যকর হতে যাচ্ছে তারকা দম্পতির বিচ্ছেদ, কিন্তু তাদের সেই গল্পের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল সেটা তো অনেকের কাছে প্রশ্ন। চলুন অপুর মুখ থেকেই শুনে নেওয়া যাক সেই গল্প। ১৩ বছর আগের কথা, শাকিব তখন ঢাকাই ছবির ব্যস্ত নায়ক। আর অপু তখনো শুধুই দর্শক। নাচের অনুষ্ঠান করতে বগুড়া থেকে মাঝে-মধ্যে মায়ের সঙ্গে ঢাকায় আসতেন অপু। ২০০৬ সালে এফ আই মানিকের কোটি টাকার কাবিন ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান অপু বিশ্বাস। তখনো অপু জানতেন না, ছবিটিতে তার সহশিল্পী তারই প্রিয় নায়ক শাকিব খান। মায়ের পছন্দের নায়ক রাজ্জাক ছবিটিতে কাজ করছেন জেনে সানন্দে রাজি হয়ে যান অপু। ছবির সেটে শাকিবের সঙ্গে অপুর প্রথম দেখা হয়। শাকিবের সঙ্গে প্রথম দেখার সেই গল্প শোনালেন অপু। বললেন, আমি তখনো স্কুলের ছাত্রী। শাকিব খানের সুভা ছবিটি দেখি। এই ছবিতে নায়ক শাকিব খানকে দেখে বেশ ভালো লাগে। এরপর আমার স্বপ্ন তুমি ছবিটি দেখে শাকিব খানের ভক্ত হয়ে যাই। তখনো ভাবিনি তার সঙ্গে অভিনয় করা হবে। অবশেষে কোটি টাকার কাবিন ছবিটি সেই সুযোগ করে দেয়। প্রিয় নায়কের সঙ্গে অভিনয় করার সেই সময়কার অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়। অপু বললেন, প্রথম দেখাতেই আমি তাকে সালাম দিই। ভাইয়া বলে ডাকি। কিছুদিন পর আমরা আউটডোর শুটিংয়ে ঢাকার বাইরে যাই। একটি রোমান্টিক গানের দৃশ্য ধারণের কাজ করা হবে। আরও পড়ুন: মৌমিতার আত্মহত্যার কারণ কথা প্রসঙ্গে সে সময় শাকিব আমাকে বলে, এই, আমাকে ভাইয়া বলে ডাকবে না। হয় শাকিব বলে ডাকবে, না হয় আমার একটা ডাকনাম আছে রানা, সে নামেই ডাকবে। আমার পরিবার এবং খুব কাছের মানুষেরাই আমাকে রানা নামে ডাকে। তাই তুমি আমাকে রানা নামেই ডাকবে। সেই থেকে শুরু। কখনো শাকিব, কখনো রানা নামে তাকে ডাকি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের কাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বলা যায়, আমার প্রায় সব ছবির নায়কই শাকিব খান। আমাদের দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াটাও চমৎকার। এদিকে, শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের দাম্পত্য সম্পর্কের চূড়ান্ত বিচ্ছেদ ঘটলেও অপু পাচ্ছেন না কাবিনের কোটি টাকা। মানে অধরাই রয়ে গেল কোটি টাকার কাবিন। ২০০৬ সালে এই জুটির প্রথম ছবির শিরোনাম ছিল কোটি টাকার কাবিন। তাদের বিয়েতেও কোটি টাকার কাবিন ছিল বলে অপুর দাবি। যদিও শাকিব বলছেন, কাবিনের অংক সাত লাখ এক টাকা। কাবিন যত টাকারই হোক শেষ পর্যন্ত অপু বলছেন কাবিনের টাকা হিসেবে তাকে কোটি টাকাই দিতে হবে। না হলে এক পয়সাও নেবেন না তিনি। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন আর/০৭:১৪/১২ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2DjEb6l
March 12, 2018 at 02:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন