মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে ::সিলেটের বিশ্বনাথে অটোরিকশাসহ চালক বিসু মালাকার (৩২) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা নিয়ে বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুর থানার পুলিশের ঠেলাঠেলিতে বিপাকে পড়েছেন নিহতের পরিবার। ময়না তদন্ত শেষে (৩ মার্চ) শনিবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বাসিয়া নদীর শশ্মান ঘাটে বিসু মালাকারের দাহ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, বিসু মালাকারের ৎলাশ উদ্ধার করা হলেও সিএনজি অটোরিক্সা গাড়িটি এখনো উদ্ধার হয়নি। নিহতের বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান’সহ স্বজনদের কান্না ও আজাহারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠছে। তাদের কান্না কেউ থামাতে পারছেনা। বিসুর পরিবারকে শান্তনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা।
বিশ্বনাথ উপজেলার ভোগসাইল গ্রামের নিখিল মালাকারের ছেলে অটোরিক্সা চালক বিসু মালাকার ভাড়ায় চালিত অটোরিক্সাটি সহ গত বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর (১মার্চ) বৃহস্পতিবার অটোরিকশার মালিক বিশ্বনাথের সরিষপুর গ্রামের গৌছ আলী (৩৬) বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ থাকার পর দুইদিন পর ২ মার্চ শুক্রবার দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থেকে ছুটে যান নিখোঁজ চালকের পিতা ও গাড়ির মালিক। সেখানে গিয়ে তারা চালক বিসুর লাশ সনাক্ত করেন। এরপর জগন্নাথপুর থানার এসআই ফাত্তাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহালও করেন। সুরতহালের সময় তার ডান পায়ের রগ কাটা ও বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। এরপর লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জের হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্ত শেষে আজ শনিবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বাসিয়া নদীর শশ্মান ঘাটে লাশের দাহ সম্পন্ন করা হয়। ছেলের খুনের ঘটনায় মামলা করতে গিয়ে বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুর থানার ঠেলাঠেলি’তে বিপাকে পড়েছেন নিহতের পিতা নিখিল মালাকার।
নিখিল মালাকার সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাতে ছেলে খুনের ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় যাই। এসময় থানার ওসি আমাকে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করার কথা বলেন। জগন্নাথপুর থানার ওসি’র কথামতো মামলা করতে আমি বিশ্বনাথ থানায় যাই। কিন্তু বিশ্বনাথ থানায় গেলেও ওসি একইভাবে বলেন জগন্নাথপুর থানায় গিয়ে মামলা করতে। এভাবেই ছেলে খুনের মামলা করতে গিয়ে দুই থানার ঠেলাঠেলিতে পড়েন নিখিল মালাকার। তিনি ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বলেন ‘এভাবে আমার ছেলে খুন হবে কখনও কল্পনা করেনি”।
এবিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, জগন্নাথপুর থানা এলাকা থেকে বিষু মালাকারের লাশ উদ্ধার করেছে ওই থানার পুলিশ। ক্রাইমসিনও জগন্নাথপুর থানা এলাকায়। সুতারাং ওই থানাতেই মামলা করতে হবে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন- নিহত বিষু মালাকারের বাড়ি বিশ্বনাথ এলকায় এবং সেখান থেকেই সে নিখোঁজ হয়েছে। ঘটনার শুরুটা যে স্থান থেকে সেখানেই মামলা করা উচিত বলে তিনি জানান।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2FiYPbB
March 04, 2018 at 12:45AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন