কলকাতা, ২৫ মার্চ- কংগ্রেসের ঘর ভেঙেই চলেছে। ৪২ থেকে কমতে কমতে এখন ৩১-এ দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। তবু রক্তক্ষরণ থামছে না কিছুতেই। তৃণমূলের হানায় আরও ছোট হবে বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। এই একমাসেই তিন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আরও তিন বিধায়ক পা বাড়িয়ে আছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। সবুজ সংকেত মিললেই তাঁরাও যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড়ে হানা দেওয়া আর কংগ্রেস ভাঙানো এখন নিত্যদিনের খেলা হয়ে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। একইসঙ্গে তৃণমূল এবার আর এক কংগ্রেসি গড় মালদহেও হানা দিয়েছে। আর তৃণমূলের এই ভাঙনের রাজনীতিতে কংগ্রেস ক্রমশ অস্তিত্ব হারাতে চলেছে বাংলায়। তার প্রভাব পড়তে চলেছে বিধানসভাতেও। মার্চ মাসেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের তিন বিধায়ক। অধীরের ঘর ভেঙে অপূর্ব সরকার ও শাওনি সিংহ রায়কে নিজেদের ডেরায় তুলে নিয়েছিলেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। এরপর রাজ্যসভার ভোটের দিন বিধানসভায় যখন দুই কংগ্রেসের জোটের আবহ, সেদিনই কংগ্রেসের ঘর ভেঙে আরও এক বিধায়ক গৌতম দাসকে দলে টানে তৃণমূল কংগ্রেস। গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সেদিনই আভাস দিয়েছিলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে। পরদিনই তিনি কংগ্রস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদ ও মালদহের আরও দুই বিধায়ক দল ছাড়ার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদেরও গন্তব্য হবে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলার আরও এক বিধায়ক তৃণমূলে আসার ব্যাপারে মনস্থ করে ফেলেছিলেন। তিনিও যে কোনও দিন যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই দলবদল হয়ে গেলেই বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়বে। খাতায়-কলমে তাঁরা বিরোধী দল হলেও, আসলে তখন বিরোধী শিবিরে বামেদের বিধায়ক সংখ্যাই বেশি থাকবে। ৩১ থেকে কংগ্রেস কমে দাঁড়াবে ২৮-এ। সিপিএম ৩০। ফলে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সংখ্যার বিচারে টেক্কা দিতে পারবেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে। কংগ্রেসের ক্ষমতা আরও খর্ব হবে রাজ্য বিধানসভায়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া আর/১৭:১৪/২৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2uk8QRJ
March 26, 2018 at 01:01AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন