কলকাতা, ২১ মার্চ- পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য উন্নয়নের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না৷ মঙ্গলবার বর্ধমানের গুসকরায় প্রশাসনিক বৈঠকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৈঠকের মঞ্চ থেকেই মুখ্যসচিব মলয় দে এ ব্যাপারে বিজ্ঞন্তি জারি করার কথা ঘোষণা করেছেন৷ এর পাশাপাশি , দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন নেত্রী৷ গত কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য যাতে উন্নয়নের কাজে ভাটা না -পড়ে তা নিশ্চিত করতে বলছিলেন৷ মুখ্যসচিব সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞন্তি জারির কথা বলতেই চাপ বেড়েছে জেলা প্রশাসনে৷ বিডিওদের কথায় , ভোটের দিন ঘোষণা হলেই সেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় আধিকারিকদের৷ ভোট-পর্ব মিটতে মাস দুয়েক সময় লাগে৷ ফলে ওই সময়ে সাধারণ ভাবে অন্য কাজের গতি কিছুটা কমে যায়৷ কিন্ত্ত এ দিন মুখ্যসচিব শুধু বিজ্ঞন্তির কথা বলেই থেমে যাননি৷ তিনি বলেছেন , সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ভোটের মধ্যে অন্য সব উন্নয়নমূলক সব কাজ চলছে কি না , সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর টানা সভা এবং প্রশাসনিক বৈঠকে বারেবারেই উন্নয়নের কাজে জোর দেওয়ার কথা বলছেন৷ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে তাঁর সরকার যে বদ্ধপরিকর তা -ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি৷ পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে শুধু জেলাশাসক বা বিডিও -রা নন , পুলিশকেও যুক্ত হতে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য সেই কাজ আটকে গেলে তা যে সরকার মেনে নেবে না মুখ্যসচিবের ঘোষণায় তা স্পষ্ট৷ দলের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের জন্য তিনি যে আপস করবেন না , তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা৷ তিনি বলেছেন , দলে যাঁরা বর্ষীয়ান কিন্ত্ত ভোটে হেরে গিয়েছেন , তাঁরা যেন নিজেদের ব্রাত্য না ভাবেন৷ সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের মধ্যে উপদলীয় গোলমালের অভিযোগ নিয়ে বিরক্ত হতে হয় শীর্ষনেতৃত্বকে৷ বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে দুই বর্ষীয়ান নেতার নাম করে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেন স্থানীয় নেতাদের৷ মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ীর কাছ থেকে তাঁর এলাকা সম্পর্কে জানতে গিয়ে মমতা খোঁজ করেন সেখানকার প্রাক্তন দলীয় বিধায়ক আবুল হাসেম মণ্ডলের৷ কিন্ত্ত তিনি বৈঠকে আসেননি৷ মমতা যে তাঁর খোঁজ করেছেন সে কথা আবুলকে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন সেখানকার নেতাদের৷ তাঁর মতো বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে রেখেই যাতে দলের কাজকর্ম চালানো হয় সে নির্দেশও দিয়ে দেন নেত্রী৷ সেখানে তখন বসে বর্তমান বিধায়ক নার্গিস বেগম৷ ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালি হাজরাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে৷ আরও পড়ুন: পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপে, পরীক্ষা বানচালের পরিকল্পিত চক্রান্ত তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা সেখানকার বর্তমান দলীয় বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলকে বলেন , বনমালিবাবুর মতো শ্রদ্ধেয় মানুষদের নিয়ে কাজ করতে হবে৷ কোনওভাবে যেন তাঁরা বঞ্চিত না হন৷ নেত্রী সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবে তা কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে দলেরই একাংশের মধ্যে৷ এক নেতার কথায় , কিছু নেতার ক্ষেত্রে দল দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না -নিলে শুধু মুখের কথায় তাঁরা কতটা সকলকে নিয়ে চলবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই৷ তথ্যসূত্র: এই সময় এআর/১০:১৩/২১ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2GdlIhg
March 21, 2018 at 04:11PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন