আগরতলা, ০৩ মার্চ- আগে থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল যে, ২৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কিন্তু আজ শনিবার ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের বেসরকারি ফল প্রকাশের পর সেটি পুরোই স্পষ্ট হয়ে উঠলো। কিন্তু গেরুয়া বসনের দিকে পাল্লা যে এতটা ঝুঁকবে সেটা বোধহয় ভাবতে পারেনি খোদ বিজেপিও। প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা থাকার পরও দুর্নীতিরোধে ব্যর্থতা আর আসামে বিজেপি ঢেউ সম্ভবত মানিক সরকারের ভরাডুবির কারণ। সবমিলিয়ে ৫৯ আসনের (একটি আসনের প্রার্থী মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি) মধ্যে মাত্র ১৮টি পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদ)- (সিপিআইএম)। আর বিজেপি বাগিয়ে নিয়েছে ৪১টি আসন। হিন্দু জাতীয়তাবাদ আর ধর্মীয় অভিবাসীদের ধোঁয়া তুলে আসামের নির্বাচনী বৈতরনী পার হয় বিজেপি। তাই ত্রিপুরায় এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। তবে রাজ্যে শিক্ষার চেয়ে বেকারত্বের হার বেশি হওয়াটাও মানিক সরকারের তরী ডোবার আরও একটি কারণ। কিন্তু বামপন্থী সিপিআইএম সরকার এমনভাবে গোহারা হারবে সেটা কেউ ভাবতে পারেনি। নাগাল্যান্ডেও ভেলকি দেখিয়েছে বিজেপি। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১টি আসন। এবার সেখানে ৩৪টি আসন পেয়েছে দলটি। ফলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (এনডিপিপি) নাগাল্যান্ডে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তবে বিজেপির সঙ্গে মিলে রাজ্য সরকার গঠনের ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে ক্ষমতাসীন এনপিএফ। ২০০৩ সাল থেকে রাজ্য সরকারে থাকা এনপিএফ এবার পেয়েছে ২৫টি আসন। আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মহারাজা কি যোগ দিতে পারেন বিজেপি-তে? ওদিকে ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে খালি হাতে ফিরলেও মেঘালয় কংগ্রেসকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। টানা দুইবার ধরে মেঘালয়ের সরকারে থাকা কংগ্রেস এবার পেয়েছে ২৩টি আসন। সেখানকার ৫৯টি আসনের (একটি আসনে প্রার্থী মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি) মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪টি। আর তাদের শরিক ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি পেয়েছে ১৫টি আসন। সবমিলিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। মেঘালয়ে কংগ্রেস সরকার গঠনের লক্ষ্যে দলের দুই সিনিয়র নেতাকে সেখানে পাঠিয়েছে। এর আগে গোয়া ও মনিপুরের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পরও সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। ধারণা করা হচ্ছে, এজন্য এবার সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। আর দলের সভাপতি হওয়ার পর এটাই রাহুল গান্ধীর সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। যদি ঠিকঠাক মতো মেঘালয়ে সরকার গঠন করতে পারে কংগ্রেস তাহলে কর্ণাটক নির্বাচনের আগে বাড়তি অনুপ্রেরণা পাবে দল ও রাহুল। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/০৭:১৪/০৩ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2thIdfK
March 03, 2018 at 11:09PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন