কলকাতা, ২৯ মার্চ- এ যেন সিনেমার গল্প। তবে গল্প নয়, একেবারে কঠোর বাস্তব। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েছে বাংলাদেশি যুবক। সে কিশোরী আবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী এস পি সিং বাঘেলের বোন। সম্পদ অধিকারী নামের ওই যুবক উত্তরপ্রদেশ থেকে মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে পালিয়ে আসে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায়। প্রথমে বারাসতে এসে ঠাঁই নিলেও পরে আর তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ইউপি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মন্ত্রী ও তার ভাইয়েরা। সমস্ত রাজ্যে দুজনের ছবি দিয়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তেও নজরদারি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধরা পড়লে সম্পদের কী পরিণতি হবে তা আন্দাজ করা কঠিন নয়। তবে তার এই দুঃসাহসিক কীর্তি যে সিনেমার গল্পকেও হার মানাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা সম্পদ। সেখানে থেকে ভারতে এসে প্রভাবশালী মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে পালানো, তাজ্জব হওয়ার মতো ঘটনা। জানা যায়, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে চলে আসে সম্পদ। এসে বারাসতের কানাপুকুর এলাকায় জমি কিনে বাড়িও তৈরি করে। তারপর সেই বাড়ি ভাড়ায় দিয়ে চলে যান উত্তরপ্রদেশে বোনের কাছে। নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিয়ে দুলাভাইয়ের ওষুধের দোকানে বসত সে। এলাকায় হাতুড়ে ডাক্তার হিসাবে নামডাকও হয়। সেখান থেকেই মন্ত্রীর বোনের সঙ্গে পরিচয়। গত ১৬ মার্চ মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে বিমানে চেপে কলকাতায় চলে আসে সে। খোঁজ খবর নিয়ে পরের দিনই কলকাতায় আসেন মন্ত্রী এস পি সিং বাঘেলের ভাই ও ইউপি পুলিশ। প্রথমেই তাঁরা বারাসতের কানাপুকুরে সম্পদের বাড়িতে হানা দেন। সেখান থেকে এলাকার কয়েকজন যুবক ও সম্পদের দুই আত্মীয়-সহ মোট ছজনকে আটক করেন। স্থানীয়রা জানান, ১৭ তারিখ রাতে সশস্ত্র কয়েকজন সম্পদের খোঁজে এসে ওই এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছেন। খবরটি স্থানীয় কাউন্সিলর চম্পক দাসের কানে যায়। বিষয়টি জানার পর ইউপি পুলিশ ও মন্ত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপরেই গোটা ঘটনা সামনে আসে। আরও পড়ুন:আসামে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন ৫০ লাখ মুসলিম এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ভাই নীরজ সিং জানিয়েছেন, সম্পদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জোগাড় করেছেন তারা। বাংলাদেশে সম্পদের বাবা-মা থাকেন। সেখানে ইতি আধিকারী নামে একটি স্ত্রীও রয়েছে তার। তা সত্ত্বেও মন্ত্রীর বোনকে ফুঁসলে নিয়ে পালিয়েছে সে। নিজেকে খুব বড়লোক বলে পরিচয় দিয়েছিল সম্পদ। বারাসত, সুভাষনগর, বনগাঁ-সহ সম্পদের সমস্ত আত্মীদের বাড়িতে হানা দেয় ইউপি পুলিশ। বারাসতের কাউন্সিলর চম্পক দাস জানিয়েছেন, মন্ত্রী এস পি সিং নিজে ফোন করেছিলেন। আমরা সব রকম সাহায্য করছি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন এমএ/ ০৯:৪৪/ ২৯ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GoLonS
March 30, 2018 at 03:47AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন