আরকানসাস, ১৭ এপ্রিল- মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা নতুন বছরের শুরুর লগ্নে ধুয়ে মুছে পবিত্র হোক ধরণী- কবি গুরুর এমনই আকুতি বাঙালি সত্তাকে প্রতিবছরেই নিয়ে যায় ঐতিহ্যের দিকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আমেরিকার আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপিত হয়েছে। পুরাতন, জরা আর জীর্ণ কে বিদায় জানিয়ে শুভ, সুন্দর ও মঙ্গলকে বরণ করার আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনায় আরকানসাসের বাঙালিরা মেতে ওঠে আনন্দ উদযাপনে। বৈশাখী দুপুরে, ১৫ এপ্রিল ইউনিভার্সিটি অফ আরকানসাস লিটল রক অডিটোরিয়ামে বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম সাজানো হয় বৈশাখী সাজে। দুপুর থেকেই বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক লাল-সাদা শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম যেন রঙিন হয়ে উঠেছিল । দুপুর ১২ টায় আসলাম হাবি বচেধুরীর সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু। সাংস্কৃতিক পর্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে আগত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রায়ান তাজ ও প্রমিতা খান। সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা পরিবেশন করেন মিতু, আলি, আলম, কাকন, সোহেল, লাভলী, গোলাপ, ও বনশ্রী। সবাই দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান জানান । স্থানীয় শিল্পী অনামিকা, লাভলী, রাহি কাকন, সোহেল, আলম, রুম্মান ও সুমিত দলীয় কণ্ঠে নিয়ে আসে বর্ষবরণ সঙ্গীত এসো হে বৈশাখ এসো এসো । অনামিকা নিয়ে আসে কে ওই যাসরে, ভাটির গাং বাইয়া। কবিতা আবৃতিতে ছিলতাহিয়া, আরিজ, রুম্মন, সুমিত ও বনশ্রী । অনুষ্ঠানে বাংলা নৃত্য দর্শকদের নজর কারে । নৃত্য পরিবেশনে ছিল পারমিতা, স্মরণ সামন্ত, ও শ্রুতি ভালুরু পল্লী । পাপেট শো পরিবেশন করেন আব্দুর রহমান । অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিল হারুন, ফয়সাল ও বনশ্রী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অডিটোরিয়ামের বাইরে বসে বৈশাখী মেলা । বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, খাবার, পোশাক সবকিছু মিলেইতো বৈশাখী মেলা । মেলার ধরনটা বাংলাদেশী বৈশাখী মেলার মতোই খোলা মেলা ছিল । নানা রং বেরঙের বাহারি শাড়ি, চুড়ি, দেশীয় পোশাক ও গহনার বিপুল সমারোহ ছিল। আরো ছিল পান্তা ইলিশ, নানা পদের ভর্তা ও বাহারী রকমের দেশীয় খাবারের বিশাল আয়োজন। দেশীয় খাবারের সুগন্ধ ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। বৈশাখের প্রথম দিনে দেশ ও দেশের মাটি থেকে সহস্রযোজন দূরে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালীরা রমনার বটমূলের স্বাদ ফিরে পান এই বৈশাখী মেলার মধ্যে দিয়ে । আর/০৭:১৪/১৭ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JQVT5z
April 17, 2018 at 02:57PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন