বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে তিন বছর ধরে এক ইউপি সদস্যার পকেটে কর্মসৃজন প্রকল্পের ১লাখ ২০হাজার টাকা। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষি মহিলা সদস্য মিনা বেগম। বুধবার তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র শাহ জাহান সিরাজ। অভিযোগে স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের মশুলা, ভাগমতপুর, কাউপুর ও শ্রীধরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার’সহ আরও ৪৮জন ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে তাদের গ্রামের এলজিইডি পাকা রাস্তার রামপাশা ইউনিয়ন অংশের দুই পাশে মাটি ভরাটের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পে ওই ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। প্রকল্পের সভাপতি করা হয় স্থানীয় ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা মিনা বেগমকে। কিন্ত তিনি রাস্তার কোন কাজ না করে নিজের লোক দিয়ে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। স্থানীয়রা রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করার জন্য বার বার তাকে (মিনা বেগম) তাগিদ দিলেও তিনি নানা টালবাহানা করেন। সর্বশেষ গত ১৯মার্চ এলাকার মুরব্বি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী, শাহজাহান সিরাজ, বাবুল মিয়া ও আব্দুল বাতিন মিনা বেগমকে রাস্তার কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কাজ করতে পারবেন না বলে জানান। পাশাপাশি তাদেরকে যা ইচ্ছা তাই করতে বলেন। কাজটি না করায় রাস্তার উভয় পার্শ্বের মাটি ভেঙ্গে পড়ছে। তাই আত্মসাৎকৃত সরকারি অর্থ উদ্ধার করে রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে অভিযোগে অনুরোধ করা হয়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যা মিনা বেগম বলেন, তৎকালীন সময়ে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার মিয়া ও একই গ্রামের জামায়াত নেতা ফখরুল ইসলাম খানের কাছে দিয়েছি।
জামায়াত নেতা ফখরুল ইসলাম খান বলেন, আমি ওই প্রকল্পের কোন সদস্য নই। এছাড়া প্রকল্পের কোন টাকা আমার কাছে আসেনি।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2q3JamW
April 05, 2018 at 12:48PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন