হ্যালিফ্যাক্স, ২০ এপ্রিল- মঙ্গলশোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে গত ১৪ই এপ্রিল ২০১৮ কানাডার হ্যালিফ্যাক্স সিটিতে বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশান অফ নোভাস্কসিয়ার (বিডিক্যান্স) উদ্যোগে পালিত হল বাঙালীর প্রাণের বর্ষবরণ উৎসব। এসো হে বৈশাখ গানটির সুরে সুরে প্রবাশী বাঙ্গালীরা বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এরপর হ্যালিফ্যাক্স কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে বাংলা নববর্ষের প্রদর্শনী সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। তারপর শিশুদের আনন্দমিছিল ও একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে গানটি পরিবেশিত হয়। হ্যালিফ্যাক্সে বাংলা ভাষার শিক্ষাদান, বিকাশ, প্রসার ও চর্চায় নিয়োজিত হ্যালিফ্যাক্স বাংলা শিক্ষণ স্কুলের শিশুদের মামার বাড়ী কবিতা অবলম্বনে নির্মিত ভিডিও পরিবেশিত হয়। সকলের অংশগ্রহণে সমবেত সংগীত আমরা সবাই রাজা পরিবেশিত হয়। তারপর মেলায় যাইরে ও মাইলসের জ্বালা গানটি পরিবেশিত হয়। প্রজাপতি গানের সাথে শিশুদের নাচ পরিবেশিত হয়। ইকবাল চৌধুরী ও ইশতিয়াকের উপস্থাপনায় সিলেটি ও চট্টগ্রামের ভাষায় মজার খবর পরিবেশিত হয়। তারপর গ্রাম ছাড়া ও সূর্যোদয়ে তুমি গানটি পরিবেশিত হয়। আজহারুল হক-এর উপস্থাপনায় বিডিক্যান্সের সূচনালগ্ন থেকে অগ্রগতি ও কার্যক্রম উপস্থাপিত হয় এবং বিডিক্যান্সের স্বেচ্ছাসেবকদের সনদপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়। এরপর মোহাম্মদ আহসানুল হাবীবের কবিতা আবৃতি উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। তারপর বছর ঘুরে গানের সাথে মনোহর নৃত্য পরিবেশিত হয়। আমিনুল ইসলাম বাপ্পীর অদ্ভুত সেই ছেলেটি গানটি সবাইকে বিমোহিত করে। তারপর আমার স্বপ্নগুলো গানটি পরিবেশিত হয়। তারপর মধ্যাহ্নভোজ পর্বে ছিল বৈশাখী আমেজ। অসাধারণ সব বাংলী ঐতিহ্যবাহী খাবার সবাইকে প্রবাসের কথা ভুলিয়ে দেয়। তারপর মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর ডুব ছবিটি পরিবেশিত হয়। সবশেষে ফিফটি-ফিফটি লটারী র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। আর এভাবেই নতুন প্রজন্মের কানাডিয়ান-বাংলাদেশি শিশুরা নিজেদের মাঝে আপন ঐতিহ্য ধারণ করে চলেছে।বলা হয়ে থাকে- বাঙ্গালী যেখানেই যায়, সাথে করে একটা বাংলাদেশ নিয়ে যায়। হ্যালিফ্যাক্সের প্রবাসী বাঙ্গালীরা আবারও এর প্রমাণ দিল। আর/০৭:১৪/২১ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HE0PMH
April 21, 2018 at 11:58PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন