বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। সবাই আনন্দের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি নানা রকম আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন। শোবিজ তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন। বৈশাখ নিয়ে তাদের রয়েছে বহু মজার স্মৃতি। তারকারা ছোটবেলার পহেলা বৈশাখের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন প্রতিবেদকের কাছে। সৈয়দা হাসান ইমাম উৎসবটি ছিলো ব্যবসায়ীদের এখন যেমন সবাই পহেলা বৈশাখের উৎসব করে। আমাদের সময় বৈশাখ এভাবে পালন করা হতো না। তখন এটি ছিলো ব্যবসায়ীদের অনুষ্ঠান। বাকি টাকা আদায়ের জন্য তারা অনেক বড় আয়োজনে হালখাতা করতো। প্রতিষ্ঠান সাজাতো। প্রতি পহেলা বৈশাখে মেলায় যেতাম। বাঁশি কিনতাম, পাঁপর ভাজা খেতাম। আমি ঘুড়ি ওড়াতে খুব পছন্দ করতাম। মেলায় ঘুড়ি উড়াতাম। এখন নাতিদের নিয়ে শহরের মেলাগুলোতে যাই। বেশ ভালোই লাগে। তবে ছোটবেলার বিষয়টি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অপু বিশ্বাস দিনগুলো আর ফিরে আসবে না ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করতো। কখন পূজা আসবে, কখন পহেলা বৈশাখ আসবে সে অপেক্ষা সারাবছর ধরে করতাম। দিনটিতে নানা জায়গায় বাধাহীনভাবে ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু এখন চাইলেও সব জায়গায় যেতে পারি না। দিনগুলো আর ফিরে আসবে না। এবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। ঘরোয়াভাবে বাঙালি খাবারেরও আয়োজন করছি। আব্রামকে নিয়েই দিনটি কাটবে। আঁখি আলমগীর মনে হতো মেলায় গেলে হারিয়ে যাবো স্কুলে যখন পড়তাম তখন বড় পরিসরে বৈশাখ নিয়ে এতো আয়োজন দেখতাম না। শুধু স্কুলে অনুষ্ঠান হতো ও বাসার আশেপাশে কয়েক জায়গায় মেলা হতো। এখন পহেলা বৈশাখ বিশাল একটি উৎসব। বৈশাখী মেলায় তেমন যাওয়া হতো না। আমার খালি মনে হতো মেলায় গেলে হারিয়ে যাবো। কারণ ছোটবেলায় এতো সিনেমা দেখছি যে মেলায় গেলে বাচ্চা হারিয়ে যায়। সেই ভয় থেকে মেলায় যেতে চাইতাম না। তবে কয়েকবার যাওয়া হয়েছিলো। তাও আবার স্কুলের মেলাগুলোতে। কিন্তু বাবার (চিত্রনায়ক আলমগীর) সঙ্গে কখনো যাইনি। তিনি গেলে অনেক মানুষ ঘিরে ধরবে তাই। মা ও পরিবারের অন্য সদস্যের সঙ্গে গিয়েছি। মাটির হাঁড়ি-পাতিল, কাগজের বাঘ, কাগজের পুতুল, মুখোশ কিনেছি। সময়গুলো এখন খুব মিস করি। এবার বিদেশে প্রবাসী বাঙালীদের সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করছি। এটাও ভিন্ন রকম আনন্দ। যদিও পরিবারকে অনেক মিস করছি। (১৪ এপ্রিল ফ্রান্সের প্যারিসে ও ১৫ এপ্রিল অস্ট্রিয়ায় ভিয়েনায় শো রয়েছে আঁখির। দুইটিই নববর্ষের অনুষ্ঠান।) সাইমন সাদিক দল বেঁধে ঘুরতে বের হতাম আমার শৈশব-কৈশোর পুরোটাই কেটেছে কিশোরগঞ্জে। সেখানে তখন পহেলা বৈশাখের উৎসব ছিলো ঘর কেন্দ্রিক। মা বাসায় নানা রকম দেশি খাবার রান্না করতেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা সবাই আসতো। দল বেঁধে ঘুরতে বের হতাম। সে সময়গুলো দারুণ ছিলো। এখন অবশ্য দিনটি ঢাকায় কাটাই। তেমন কোথাও যাওয়া হয় না। বাসায় থাকি। বন্ধু বা অন্য কেউ বাসায় এলে তাদের সময় দেই। মুমিতাহিনা টয়া অসুস্থ হয়ে যেতাম রাঙ্গামাটিতে আমার ছোটবেলা কেটেছে। সেখানে পহেলা বৈশাখকে ঘিরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন তিনদিন ব্যাপী বৈসাবি উৎসব করে। তাদের সঙ্গে আমরাও উৎসবে মেতে উঠতাম। ১২ এপ্রিল ফুল বিজুর, ১৩ এপ্রিল বিজুর ও ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হতো। পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতো সবাই। সবার দারুণ সময় কাটতো। প্রতিটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতাম। এমনো হতো যে উৎসবে অংশ নিতে নিতে অসুস্থও হয়ে যেতাম। এখনও নানা অনুষ্ঠানে সময় কাটে। এবার সকালে রমনা বটমূলে একটি অনুষ্ঠান করছি। আমি রেডিওতে নিয়মিত প্রতি শনিবার রাতে টোটাল টয়া নামে একটি শো করি। পহেলা বৈশাখও যেহেতু শনিবার, তাই এদিনও শোটি করবো। সূত্র: বাংলানিউজ আর/০৭:১৪/১৪ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GXxTQn
April 14, 2018 at 03:07PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন