ঢাকা, ২৮ এপ্রিল- ২০১৯ বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফরম্যাট। যে ১০টি দল বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে, গ্রুপ পর্বে সবাই সবার বিরুদ্ধে খেলবে। কোনো গ্রুপ নেই। অন্তত ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে প্রতিটি দলকে। লম্বা একটি পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে নির্ধারণ করা হবে সেরা চারটি দল। যারা খেলবে সেমিফাইনাল। বিশ্বকাপের এই ফরম্যাটকেই কঠিন মনে করছেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এমনিতে এই ফরম্যাটের ফলে দারুণ খুশি তিনি। প্রতিটি দলের সঙ্গেই খেলতে পারবেন তারা। নিজেদের শক্তির পূর্ণ পরীক্ষা হয়ে যাবে। কিন্তু নিজেদের প্রমাণ করার কিংবা নক আউটে খেলার স্বপ্ন দেখাটা কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য। আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তামিম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে খুবই রোমাঞ্চিত। একটা টুর্নামেন্টে সবার সঙ্গে খেলা, এই সুযোগ আমরা পাব। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে খেলা হবে, একটা সহযোগী দেশও আছে। ফরম্যাট নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে রোমাঞ্চিত। এটা এমন ফরম্যাট, যদি কোনো দল শিরোপা জিততে চায় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সেই দলকে ভালো খেলতে হবে। প্রতিটি দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। লম্বা সময় ধরে অনেক ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। ফরম্যাটটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি খেলতে উন্মুখ। তামিম মনে করেন, যাদেরই শিরোপা জেতার ইচ্ছা, কিংবা যারা টপ ফেবারিট, তাদেরকে পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো খেলতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে সবাইকে। আগের সিস্টেমে গ্রুপ পর্ব থাকতো। সেখানে একটা-দুটা ম্যাচ জিতলেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হতো। কিন্তু এখন আর একটা দুটা ম্যাচ নয়, জিততে হবে অন্তত ৬ থেকে ৭টি ম্যাচ। তিনি বলেন, গ্রুপ থাকলে বোঝা যায় কটা ম্যাচ আমাদের জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। গ্রুপে এক-দুইটা ম্যাচ জিতলে কোয়ালিফাই করা সম্ভব। কিন্তু এখানে হয়তো ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে হবে। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার আমাদের জন্য। লম্বা সময় ভালো খেলতে হবে। টুর্নামেন্টে যদি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বকাপের এখনো এক বছর সময় আছে। এই সময়ে যে সিরিজগুলো আছে, আমরা যদি ভালো খেলি, সিরিজ যদি জিতি তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যাবে। আরও পড়ুন:বিশ্বকাপ দৌড়ে পিছিয়ে আমরা: পাপন তবে তামিম ইকবাল এখনই বিশ্বকাপের নকআউট নিয়ে ভাবতে রাজি নন। বিশ্বকাপের আগের সিরিজগুলো নিয়েই ভাবতে চান। ধাপে ধাপে এগুনোকেই স্রেয় মনে করেন তিনি। তামিম বলেন, বিশ্বকাপে যারা যায়, ভালো করতেই যায়। আমি সব সময়ই বলছি এক বছরের পরের চিন্তা না করাই বেটার। তার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। এগুলোয় মনোযোগী থাকা ভালো। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে যাব ভালো করব- এটা সবাই চাই। এখনই বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের সামনে যে সিরিজ আসছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, এশিয়া কাপ- অনেক টুর্নামেন্ট সামনে। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বকাপ, সবাই এখানে ভালো খেলতে চায়।বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স নির্ভর করে এই সিরিজগুলো আমরা কেমন খেলছি । সূত্র: জাগোনিউজ আর/১০:১৪/২৮ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JxDFVy
April 29, 2018 at 05:21AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন