কুয়ালালামপুর, ১৭ এপ্রিল- মালয়েশিয়া পর্যটন নগরীর দেশ। ব্যবসা, শিক্ষা, সংস্কৃতি সব বিষয়ে বিশ্বে মালয়েশিয়ার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বিশ্বের বহু দেশের মানুষ এসে মালয়েশিয়া বসবাস করছে। কারণ এখানকার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ, সবাই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ঢাকার খরচে যে কেউ মালয়েশিয়া বসবাস করতে পারেন। মালয়েশিয়ায় ছাত্র, শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশী বাস করেন। আধুনিক মালয়েশিয়া গড়ার পেছনে বাংলাদেশিদের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে। এই অবদান দেশটির সরকার ও সাধারণ মানুষ স্বীকার করেন। বাংলাদেশের নাগরিকরা কঠোর পরিশ্রম, সততা আর দক্ষতায় মালয়েশীয়দের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে বিয়ে করার জন্য মালয়েশীয় নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি যুবকরা। এজন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশীয় স্ত্রীরা মিলে সংগঠন গড়ে তুলেছেন। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের পাশাপাশি একে অন্যের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ান তাঁরা। তাঁরা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের সততা, কর্মদক্ষতার কথাও তুলে ধরেন। এমন একটি সংগঠন কেলাব স্ত্রী বা কেআইবি। সংক্ষেপে বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় মিষ্টি বউ। সংগঠনটি ২০১৪ সালে গঠন করা হয়। মালয়েশীয় স্ত্রী সাশা সৌন সংগঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, মালয়েশীয়দের মধ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশিদের ছোট করে দেখেন। তারা মনে করেন, বাংলাদেশ গরিব দেশ। তারা শুধু মালয়েশিয়ায় কাজ করতে আসে, তারা শ্রমিক। বাংলাদেশিদের মধ্যেও মালয়েশীয় নারীদের নিয়ে একটা খারাপ ধারণা আছে। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, মালয়েশিয়া খারাপ দেশ। মালয়েশীয় মেয়েরা শুধু বাংলাদেশি ছেলেদের আটকে রাখে। এ ধারণা পাল্টে দিতেই বেশ কয়েকজন মালয়েশীয় নারী, যারা বাংলাদেশী নাগরিকদের বিয়ে করেছি, তারা সংগঠন গঠন করি। আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো, মালয়েশিয়াবাসীর কাছে আমাদের স্বামীদের ভালোভাবে উপস্থাপন করা, যোগ করেন সাশা শৌন। তিনি বলেন, বাংলাদেশীরা অনেক ভালো। কঠোর পরিশ্রম করতে ভালোবাসেন। দের মধ্যে রয়েছে সততা ও ভালোবাসা। মালয়েশিয়া মুসলিমপ্রধান দেশ। বাংলাদেশের মানুষও মুসলিম। বাংলাদেশিদের মধ্যে ধর্মের প্রতি রয়েছে অগাধ বিশ্বাস। বাংলাদেশী নাগরিকদের বিয়ে করেছেন মালয়েশিয়ার সুসি ও লিজা। তারাও শুরু থেকে যুক্ত ছিলেন মিষ্টি বউ সংগঠনের সঙ্গে। তারা নিজেদের দাম্পত্য জীবনে সুখী মনে করেন। তাদের মতে, বাংলাদেশীরা স্ত্রীদের অনেক মর্যাদা দেন। কর্মস্থলে থাকলেও তারা স্ত্রীদের যথেষ্ট খোঁজখবর রাখেন। সুসি, লিজা, শাশা মনে করেন, বাংলাদেশিরা এখানে শুধু কাজ করেন না, তারা কাজ করানও। তাদের প্রতিষ্ঠানে অনেক মালয়েশীয় নারী-পুরুষ স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বন্যায় দুর্গতদের পাশে অন্য কোনো দেশ না দাঁড়ালেও বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে। মালয়েশীয় স্ত্রীদের গর্বের আরেকটি কারণ এটি। বিষয়টি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজ্জাকেরও নজরে কারে। গত ৪ নভেম্বর মালয়েশিয়ার সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদি বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা অন্যদের তুলনায় সৎ। তারা যদি ব্যবসার ক্যাশে বসেন অথবা পেট্রল স্টেশনের কাউন্টারে বসেন, তারা অনেক বেশি বিশ্বস্ততার পরিচয় দেন। সূত্র: নিউজ২৪ আর/১৭:১৪/১৭ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2H4GAEr
April 18, 2018 at 12:35AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন