টোকিও, ১৭ এপ্রিল- জাপান প্রবাসীদের প্রাণের মেলা টোকিও বৈশাখী মেলায় প্রবাসীদের ঢল নেমেছিল। প্রবাসীদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক জাপানিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও বাংলা নববর্ষের আয়োজনে মেতে উঠেন। এবারের আয়োজন ছিল ১৯তম। ১৯৯৯ সালে একই স্থানে টোকিও বৈশাখী মেলা নামে জাপান প্রবাসীদের আয়োজনে মেলাটি শুরু হয়। দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় প্রতি বছর সম্পন্ন হয়। এই মেলার হাত ধরেই টোকিও শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার সাফল্য আসে। প্রতি বছরের মতো এবারও টোকিওর তোশিমা সিটি ইকেবুকুরো নিশিগুর্চি পার্কে বসেছিল জাপান প্রবাসীদের মিলনমেলার হাট। রবিবার ইকেবুকুরো এলাকাটি হয়েছিল এক টুকরো বাংলাদেশ। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলা ভাষা, মানুষ দেখেছে বাংলাদেশিদের পোশাক সংস্কৃতি, স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতির। এদিন বর্ণিল সাজে সেজেছিল শহীদ মিনার খ্যাত ইকেবুকুরো নিশিগুর্চি পার্ক। এ মেলায় বাংলাদেশ হতে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন এসময়ের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী পাওয়ার ভয়েজ-এর শামীম আহমেদ এবং চ্যানেল আই সেরা আইডল নিশ্চুপ বৃষ্টি। এছাড়াও স্থানীয় প্রবাসী সাংস্কৃতিক দল উত্তরণ, স্বরলিপি এবং জাপানি শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করেন। শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ছিল বিশেষ আকর্ষণীয়। মেলায় প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি। এছাড়াও অন্যান্য বিশেষ অতিথি ছিলেন তোশিমা সিটি পর্যটন পরিষদের প্রতিনিধি হিরোয়ুকি ওয়াতানাবে, তোশিমা সিটি সংস্কৃতি ও বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিনিধি বিভাগীয় প্রতিনিধি আকিরা সাইতো। আয়োজক সংগঠন প্রধান ওসামু অতসুবো প্রমুখ। দিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলায় বাংলাভাষা সংস্কৃতির পাশাপাশি খাদ্য সংস্কৃতি, পোশাক সংস্কৃতি ও অন্যান্য কুটির শিল্পের পসরা নিয়ে মোট ৩০টি স্টল ছিল। তার মধ্যে ১৯টি ছিল খাবারের স্টল। টোকিও বৈশাখী মেলায় এ বছর উপস্থাপনা প্যানেলে জুয়েল আহসান কামরুল, নারমীন হক, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল এবং জাপানি অংশে ড. কিনুকাওয়া নোরিকো ছিলেন। বিদায় বেলায় সবার মুখে একই বাক্য- দেখা হবে আগামী মেলায়। সূত্র: ঢাকাটাইমস আর/১৭:১৪/১৭ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2qDXSCp
April 18, 2018 at 12:04AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top