কলকাতা, ১১ এপ্রিল- বাড়িতে মায়ের মৃতদেহ রাখা অবৈধ কে বলেছে? আমি কোনও অন্যায় করিনি। মা বেঁচে উঠবে বলে আমি গবেষণা করছিলাম। যার পাইওনিয়ার আমি। গবেষণার পেটেন্টের জন্য আবেদনও করব বলেও ভেবেছিলাম। মঙ্গলবার পাভলভের চিকিৎসকদের কাছে এমনটাই দাবি করেছে বেহালার সাইকো শুভব্রত মজুমদার। এদিন ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ফের শুভব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে কথাবার্তা। সাইকোমেট্রিক টেস্ট হয়। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞও দেখেছেন। বুধবার সিটি স্ক্যান, এমআরআই হবে। কোনও কিছু অসুবিধার সঙ্গে থাকতে থাকতে মানসিক কিংবা আচরণগত দিক থেকে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। যা শুভব্রতর মধ্যেও দেখা গেছে বলে চিকিৎসকেরা বিশেষ কিছু টেস্ট করবেন। সহজসরল বাংলাতেই সব কথার উত্তর স্পষ্টভাবে দিয়ে চিকিৎসকদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে। যে কারণে চিকিৎসকেরা আরও বেশি সন্দিহান যে, আদৌ কোনও জটিল মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত কি না। এদিন শুভব্রত চিকিৎসকদের তাঁর ছোটবেলার কথা বলেছেন। তাঁর মায়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। মা যাবতীয় আবদার পূরণ করত। আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শাসক দলের তুঘলকি কাণ্ড বাবার সঙ্গে দূরত্ব ছিল। হাসপাতালের সুপার ডাঃ গণেশ প্রসাদ জানিয়েছেন, আমরা এখনও ঠিকমতো ডায়াগনসিস করেই উঠতে পারছি না। কারণ, সব কথার উত্তর এত স্পষ্টভাবে ও ধীরস্থিরভাবে দিচ্ছে যে, আদৌ কোনও রোগ আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। ঠিক কী রোগ এখনও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। সব কিছু জানতে মাসখানেক সময় তো লেগেই যাবে বলে মনে হচ্ছে। শুভব্রত স্কিৎজোফ্রেনিয়া নাকি বিজায়ার ডিলিউশন নাকি পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার ঠিক কোন রোগের শিকার তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে চিকিৎসকদের মনে। এমনিতে শুভব্রত ভালই আছে হাসপাতালে। তথ্যসূত্র: আজকাল এআর/১১:১২/১১ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GT2Yo8
April 11, 2018 at 05:13PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন