ঢাকা, ০৫ এপ্রিল- হাথুরু সিংহে দায়িত্ব ছাড়ার পর বাংলাদেশের প্রধান কোচ নিয়ে খোঁজাখুজি চলছে। নির্ভরযোগ্য কাউকে না পাওয়ায় দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খালেদ মাহমুদ সুজনকে ও পরে নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের হেড কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তী কোর্টনি ওয়ালসকে। যদিও অন্তর্বর্তীকালিন তারপরও দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব ভালোই উপভোগ করেছিলেন ওয়ালশ। তার কথায়, আমি সুযোগটা উপভোগ করছি। সবাই এখানে পেশাদার। নিদাহাস ট্রফি শেষে দেশে ফেরার পরও বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ খোঁজের প্রক্রিয়া চলমান। সময় অনেকটা গড়ালেও এখনও ভক্তদের ভালো কোনো কোচের সুসংবাদ দিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমন পরিস্থিতিতে বিসিবির কাছ থেকে প্রধান কোচের প্রস্তুাব পেলে তা ফিরিয়ে দেবেন না বলে জানিয়েছেন ওয়ালশ। যদিও দলে তার মূল ভূমিকা পেস বোলিং কোচ হিসাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনও প্রধান কোচ চূড়ান্ত করতে পারেনি। আগামী জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে টাইগাররা। তার আগে ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি সিরিজ খেলতে পারে মাশরাফি-সাকিবরা। এর আগে টাইগারদের প্রধান কোচ হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে রাখলেন কোর্টনি ওয়ালশ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওয়ালশ বলেন, আমি জানি, তারা একজন প্রধান কোচ খুঁজছে। যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তবে বলবো, আমি তা আনন্দের সাথেই করতে পারি। যত দ্রুত আমরা প্রধান কোচ পাবো ততোই ভালো। আমাদের মোমেন্টামটা চালিয়ে যেতে হবে। প্রধান কোচ পেলে আমরা তা নিয়ে ভাববো এবং পরিকল্পনা করবো। আশা করি এমন একজনকে পাবো যার সঙ্গে সবাই আনন্দের সাথে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্যই আমার মূল লক্ষ্য। সবশেষ নিদাহাস ট্রফিতে ওয়ালশের অধীনে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে টাইগারদের প্রধান কোচের পদটি বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে খেললেও শিরোপা জিতলে সেটা ভিন্ন মাত্রা পেত বলে মনে করেন ওয়ালশ। নিদাহাস ট্রফি নিয়ে তিনি বলেন, দল কেমন খেলেছে সেটি আপনারা দেখেছেন। আমি বলব ছেলেদের পারফরম্যান্স দারুণ ছিল। আমরা ফাইনালে হেরেছি। বিষয়টি খুব কষ্টের। তারপরও আমি বলব এটি বড় অর্জন ছিল। সিরিজে আমি আমার দায়িত্ব উপভোগ করেছি। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ। সফরটাকে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং মানছেন ওয়ালশ। তার কথায়, আমার মনে হয়, এটা দারুণ একটা সফর হবে। আমরা জানি, দেশের মাটিতে তারা কতটা ভয়ঙ্কর। তাই দেশের বাইরে এটা একটা চ্যালেঞ্জিং টেস্ট সিরিজ হবে। দুই দলই নিজেদের চেনানোর জন্য লড়বে। বাংলাদেশ দেশের বাইরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। তার আগে একবার অস্ট্রেলিয়া তাদের বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিল। সব মিলিয়ে খুব একটা টেস্ট খেলা হচ্ছে না টাইগারদের। এটা বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের উন্নতির ক্ষেত্রে বাধা বলে মনে করেন তিনি, যথেষ্ট টেস্ট খেলতে না পারাটা হতাশার। অস্ট্রেলিয়ার আসার কথা ছিল, কিন্তু তারা আসেনি। আপনি যত খেলবেন, ততোই উন্নতি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সূত্র: আরটিভি এমএ/ ১১:০০/ ০৫ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GEAUB3
April 06, 2018 at 05:04AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top