ধর্ষক বাবুল পাঁচ দিনের রিমান্ডে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ::  সিলেটের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কিশোরী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার মূল আসামি ধর্ষক বাবুল মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা বেগমের আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রসিকিউশন) ওহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মানিকুল ইসলাম আসামি বাবুলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত বাবুলের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেফতারকৃত বাবুল মিয়া হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে। তার মা কলমচান স্থানীয় ইউপি মেম্বার। গত ৩১শে মার্চ সিলেটের বিয়ানিবাজার থেকে র‌্যাব-৯ এর একটি টিম বাবুলকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, গত ২১শে জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৪) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।

এ ঘটনায় গত ১লা মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।

এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ই মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৭ই মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর গত ২১শে মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে গ্রেফতার করে।

এদিকে, এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৯শে মার্চ) পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে কমিটিকে। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2IkH5KU

April 01, 2018 at 06:20PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top