পুরো ফুটবল বিশ্ব উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের অধীর অপেক্ষায়। তবে আর খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। আজ বাদে কাল রাতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। কিয়েভের ফাইনালে শিরোপা যুদ্ধে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। কিয়েভের এই ফাইনালের আগে স্পেনের জনপ্রিয় ক্রীড়া দৈনিক মার্কা ইতিহাসের পাতা ঘেটে তুলে এনেছে ৫০টি গুররুত্বপূর্ণ তথ্য। পাঠকদের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল সম্পর্কিত সেই ৫০টি তথ্য তুলে ধরা হলো- ১. দুই ফাইনালিস্ট মিলে এবারের টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত গোল করেছে ৭০টি। ১২ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ করেছে ৩০ গোল, লিভারপুল ৪০টি। মানে ম্যাচপ্রতি রিয়াল করেছে ২.৫ গোল, লিভারপুল ম্যাচপ্রতি গোল করেছে ৩.৩৩টি! ২. ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে এর আগে মোট ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল ও লিভারপুল। তাতে রিয়াল জিতেছে ২ বার, লিভারপুল ৩ বার। ৩. চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। ১৯৮১ সালের ২৭ মে, পার্স ডি প্রিন্সেসের সেই ফাইনালে রিয়ালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। তখন অবশ্য টুর্নামেন্টের নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। এই হিসেবে ১৩ হাজার ৫১৩ দিন পর আবার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুদল। ৪. চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তথা ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কোনো ৮ ক্লাবের কাছে স্পেনের কোনো ক্লাবের হারের ঘটনা ওই একটিই। এছাড়া তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব ও ইংলিশ ক্লাব। সেই তিনবারই শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। ২০০৬ সালে আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারায় বার্সা। বাকি দুবারই বার্সা হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ২০০৯ সালে ২-০ ও ২০১১ সালে হারায় ৩-১ ব্যবধানে। ৫. এ নিয়ে ইউরোপিয়ান কাপের ইতিহাসে নবমবারের মতো ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। আগেও ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে, এমন দুটি ক্লাবের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া। রিয়াল এর আগেই ৪ বার এই পুনরাবৃত্তি ফাইনালে খেলেছে। তার মধ্যে ৩ বারই শিরোপা জিতেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৬. ইউরোপিয়ান সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এটা রিয়ালের ৩১তম ফাইনাল। আগের ৩০টি ফাইনালের মধ্যে ১৫টি ফাইনালই রিয়াল খেলেছে ইউরোপিয়ান কাপ তথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এছাড়া দুবার উয়েফা কাপ, দুবার উয়েফা উইনার্স কাপ, ৬ বার ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও ৫ বার খেলেছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে। ৭. ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে সব মিলে লিভারপুলের এটা ২০তম ফাইনাল। আগের ১৯টি ফাইনালের মধ্যে ইউরোপিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছে ৫ বার। ৮. রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে ১৪ জন্ই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছে। বিপরীতে লিভারপুলের একজনেরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ৯. রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ২৯ মাচে গোল করেছে। টুর্নামেন্টে সর্বশেষ তারা গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল ২০১৫-১৬ মৌসুমে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে, সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। ১০. লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ এর আগে মোট ৬ বার রিয়ালের মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে ৩টিতে জিতেছেন, একটিতে ড্র ও দুটিতে হার। কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন তিনিই। ১১. লিভারপুলের আক্রমণভাগের প্রধান অস্ত্র মোহামেদ সালাহ। কিন্ত, মিশরীয় এই উইঙ্গার এর আগে দুবার রিয়ালের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু একবারও গোল করতে পারেননি। ১২. শুধু সালাহ নন, মিশরের কোনো ফুটবলারই কখনোই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি। ১৩. সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত মোট ১১ বার লিভারপুলের মুখোমুখি হয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কিন্তু সেই ১১ ম্যাচে রিয়াল তারকা গোল করতে পেরেছেন মাত্র ৩টি। বোঝাই যাচ্ছে, লিভারপুলের মুখোমুখি হলেই গোল করা ভুলে যান সময়ের সেরা ফুটবলার! ১৪. খেলোয়াড় হিসেবে লিভারপুলের বিপক্ষে কখনোই মাঠে নামেননি জিনেদিন জিদান। কোচ হিসেবেও জিদান কালই অল-রেডদের মুখোমুখি হবেন প্রথম। ১৫. ইউক্রেনের কিয়েভে এর আগে ৪টি ম্যাচ খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই পরিসংখ্যান রিয়াল সমর্থকদের হতাশই করবে। ৪ ম্যাচে জিতেছে মাত্র এক ম্যাচে, একটিতে ড্র, হেরেছে ২টিতে। ১৬. কাল কিয়েভের ফাইনালের প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন মিলোরাদ ম্যাজিচ। স্লোভেনিয়ান এই রেফারির অধীনে এর আগে দুটি ম্যাচ খেলেছে রিয়াল। তার একটিতে জিতেছে রিয়াল, অন্যটিতে ড্র করেছে। বিপরীতে ম্যাজিচের অধীনে লিভারপুল কোনো ম্যাচই খেলেনি। ১৭. ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের পর টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মোট ৬৭৪ জন ফুটবলার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৮. এবারের টুর্নামেন্টে দুজন মাত্র খেলোয়াড় ১২ ম্যাচেই পূর্ণ সময় অর্থাৎ ১০৮০ মিনিটই খেলেছেন। তারা হলেন- রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিভারপুলের গোলরক্ষক লরিস কারিয়াস। ১৯. ফাইনাল পর্যন্ত আসতে লিভারপুল মোট ২৫ জন ফুটবলারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছে। রিয়াল কোচ জিদান খেলিয়েছেন ২৩ জনকে। ২০. এবারের টুনামেন্টে আগের ১২৪ ম্যাচে সব দল মিলিয়ে গোল করেছে মোট ৩৯৭টি। এর মধ্যে রিয়াল ও লিভারপুলই করেছে ৭০ গোল। ২১. ফাইনালের পথে লিভারপুলের করা ৪০ গোলের ১৮টিতেই প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন রবার্তো ফিরমিনো। নিজে করেছেন ১০ গোল, বাকি ৮টি গোল তিনি করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। ২২. ব্যক্তিগতভাবে টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেছেন ক্রি্স্তিয়ানো রোনালদো। তার সামনে এখন টুর্নামেন্টের ইতিহাসেই মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা নতুন করে গড়ার হাতছানি। অবশ্য সেজন্য ফাইনালে তাকে করতে হবে হ্যাটট্রিক। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের বর্তমান রেকর্ডটাও তার দখলেই। ২০১৩-১৪ মৌসুমে দলকে শিরোপা জেতানোর পথে রোনালদো করেছিলেন ১৭ গোল। ২৩. টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেছেন লিভারপুলের জেমস মিলনার। সতীর্থদের করা মোট ৯টি গোলে সহায়তা করেছেন তিনি। ২৪. এবারের টুর্নামেন্টে মাঠে সবচেয়ে বেশি দৌড়েছেন রবার্তো ফিরমিনো। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ২২৭ কিলোমিটার দৌড়েছেন মাঠে! ২৫. লিভারপুলের চোখে-মুখে এখন শুধুই কিয়েভের ফাইনালের স্বপ্ন। অথচ ইংলিশ ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতাই সরাসরি পায়নি। তাদেরকে আসতে হয়েছে বাছাইপর্বের বেড়া ভিঙিয়ে। এ নিয়ে তৃতীয়বার ইউরোপিয়ান কাপে বাছাইপর্ব খেলে ফাইনালে উঠল লিভারপুল। আগের দুবারের মধ্যে ২০০৪-০৫ মৌমুমে তো এসি মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নই হয়েছিল। ২০০৬-০৭ মৌসুমে হেরেছিল। ২৬. জার্মানির মাত্র ৪ জন কোচ এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পেরেছেন। তারা হলেন- উদো লাতেক, ডেটমার ক্রেমার, ওটমার হিজফেল্ড ও ইয়ুপ হেইঙ্কেস। ৪ জনে মিলে মোট ৭ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। ২৭. লিভারপুলের বিপক্ষে এর আগে মোট ১০টি ম্যাচ খেলেছেন গ্যারেথ বেল। সেই ১০ ম্যাচে রিয়ালের ওয়েলস তারকা গোল করেছেন মাত্র ১টি! ২৮. চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা করিম বেনজেমা। রিয়ালের ফরাসি ফরোয়ার্ড টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মোট গোল করেছেন ৫৫টি। আর একটি গোল করলেই বেনজেমা ছুঁয়ে ফেলবেন চতুর্থ স্থানে থাকা রুদ ফন নিস্টলরয়কে। ২৯. চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার চোট থেকে ফিরে এসেছেন সার্জিও রামোস। রিয়াল অধিনায়ক মোট ৮০ বার টুর্নামেন্টে প্রত্যাবর্তন করেছেন। ৩০. এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশিবার ক্লিন শিট (ম্যাচে গোল হজম না করা) রাখার কীর্তি গড়েছেন লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিয়াস। ১২ ম্যাচের ৬টিতেই নিজেদের জালে বল ঢুকতে দেননি তিনি। ৩১. ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সামনে কাল ৪টি ফাইনালে গোল করার হাতছানি। ৩২. রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৯টি ফাইনাল খেলেছেন গ্যারেথ বেল। কিন্তু তার একটিতেও হারের তেঁতো স্বাদ পেতে হয়নি। জিতেছেন ৯ ফাইনালেই। ৩৩. ডিফেন্ডার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ গোলদাতা সার্জিও রামোস। রিয়াল অধিনায়ক টুর্নামেন্টে মোট ১১টি গোল করেছেন। ডিফেন্ডার হিসেবে সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেছেন রিয়ালেরই সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা রবার্তো কার্লোস, ১৬টি। তবে ইতিহাসের একমাত্র ডিফেন্ডার হিসেবে দুটি ফাইনালে গোল করেছেন রামোস। ৩৪. ফাইনালের পথে ৪০ গোল করতে লিভারপুল প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট নিয়েছে মোট ৮৯টি। ৩০ গোল করতে রিয়াল শট নিয়েছে ৮৪টি। সব ক্লাব মিলিয়েই সর্বোচ্চ শট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছে লিভারপুল। ৩৫. লিভারপুলের বিপক্ষে এর আগে মোট ২টি ম্যাচ খেলেছেন বেনজেমা। সেই ২ ম্যাচেই করেছেন ৩ গোল। তার দল রিয়ালও জিতেছে ২ ম্যাচেই। রোনালদো-বেল নন, কাল কিয়েভে তাহলে লিভারপুলের বড় আতঙ্ক থাকবেন অফ-ফর্মের বেনজেমা! ৩৬. কিয়েভে এ পর্যন্ত ২টি ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল। যার একটিতে জয়, অন্যটিতে ড্র। ৩৭. এবারের টুর্নামেন্টে লিভারপুল মোট ৫টি গোল করেছে কর্নার থেকে। বোঝাই যাচ্ছে কাল কিয়েভে লিভারপুল কর্নার পেলেই আতঙ্কে থাকবে রিয়াল। ৩৮. এটা লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের তৃতীয় ইউরোপিয়ান ফাইনাল। বরুসিয়া ডর্টমুন্যের হয়ে আগের দুটি ফাইনালেই হেরেছেন ক্লপ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যায় তার দল। সেভিয়ার কাছে ইউরোপা লিগের ফাইনালে হারে ৩-১ গোলে। ৩৯. ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ১৩টি ম্যাচে জিতেছে রিয়াল। হেরেছে ৮টিতে। লিভারপুলের বিপক্ষে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে একটা মাত্র ম্যাচই খেলেছে তারা এবং সেই ম্যাচে হেরেছে। ৪০. দীর্ঘ দুই দশক পর রিয়াল মাদ্রিদই প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিনটি ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। ৪১. ১৯৫৬ সালে শুরুর পর থেকে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার এই টুর্নামেন্ট যতগুলো ফাইনাল হয়েছে, তাতে মোট ১৭২টি গোল হয়েছে। এর মধ্যে ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদই করেছে ৩৯ গোল। ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল করেছে ৯ গোল। ৪২. চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে পেনাল্টি থেকে সবচেয়ে বেশি ১৫টি গোল করেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সুতরাং রিয়াল তারকাকে স্পট কিকের যম বলাই যায়। ৪৩. রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে এর আগে ৭টি ফাইনাল খেলেছেন জিনেদিন জিদান। জিতেছেন ৭টিতেই। মানে ফাইনালে কোচ জিদানের হার নেই। ৪৪. এই মৌসুমে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সর্বোচ্চ ৬টি করে গোল করেছে লিভারপুল ও চেলসি। সুতরাং কাল কিয়েভে বল ডি-বক্সের বাইরে থাকলেও আতঙ্কে থাকবে রিয়াল। ৪৫. প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের অফ-সাইডের ফাঁদে ফেলতে বড়ই ওস্তাদ রিয়ালের ডিফেন্ডাররা। মৌসুমে সর্বো্চ ৪৪ বার প্রতিপক্ষকে অফসাইড ট্যাগে ফেলেছেন রামোস-ভারানে-মার্সেলোরা। লিভারপুল ডিফেন্ডাররা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের অফসাইড ট্যাগে ফেলেছেন ২৭ বার। ৪৬. ফাইনালের আগে লিভারপুল দ্রুততম সময়ে গোল হজম করেছিল ২০০৫-০৬ মৌসুমে। এসি মিলানের পাওলো মালদিনি ম্যাচের ৫১ সেকেন্ডেই লিভারপুলের জালে বল ঢুকিয়ে দেন। ৪৭. লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিয়াস সর্বোচ্চ ১২ বার বল ট্র্যাপ করেছেন। ৪৮. লিভারাপুলের জেমস মিলনার ও আমরি ক্যান মিলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের মোট ১৭ বার ফাউল করেছেন। ৪৯. ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে দুদল মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮১ সালে। রিয়াল ও লিভারপুলের বর্তমান খেলোয়াড়দের একজনেরও তখন জন্ম হয়নি। সুতরাং ১৯৮১ সালের স্মৃতি নেই কারও। ৫০. লিভারপুলের কোচ হিসেবে তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিলেন বব পায়াসলে। কাল কিয়েভের ফাইনালে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের সামনে সুযোগ পায়াসলেকে ছুঁয়ে ফেলার। রোনালদোরা পারবেন, কোচকে ওই কীর্তি উপহার দিতে? সূত্র: পরিবর্তন আর/১০:১৪/২৫ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ISgw0s
May 26, 2018 at 05:48AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন