মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জোর ধমক খেলেন গৌতম

কালিম্পং, ৩০ মেঃ প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কালিম্পংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি সেই কথা বারবার বোঝাতে চেয়েছেন। এমনকি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের ভূমিকাতেও যে তিনি খুশি নন সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। পাহাড়ের পাশাপাশি তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প গজলডোবা মেগা পর্যটন হাবের কাজ নিয়েও গৌতমবাবুকে এদিন বকাবকি করেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীকে এড়িয়ে তিনি দপ্তরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলির কাজকর্ম দেখভালের জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী পর্যটন প্রসঙ্গে টেনে গৌতম দেবের কাছে জানতে চান, ‘টাইগার হিলে যে কাজটা হচ্ছিল সেটার খবর কী? কটেজ তৈরি হয়েছে? গৌতমবাবু বলেন, ‘ভিত তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছে।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমাকে এসব বুঝিও না। আমি তিন-চারবার ঘুরে এসেছি। কাজগুলো কী শেষ হবে, না পর্যটন দপ্তর বসে বসে হাওয়া খাবে? জিটিএ টাইগার হিলে যে প্যাভেলিয়ান তৈরি করছে সে ব্যাপারেও খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।

জিটিএ-র প্রধান সচিব সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘নতুন প্যাভেলিয়ান তৈরির কাজ চলছে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দ্রুত সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মিরিক লেক সংস্কার, সেখানকার সুইস কটেজ সংস্কারের কাজ কী অবস্থায় আছে? জিটিএ-র অধীনে থাকা সুইস কটেজ কেন এখনও সংস্কারের কাজ শেষ হল না, কেন সেখানে বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে হেলেদুলে চললে তো হবে না। দ্রুততার সঙ্গে কাজগুলি করতে হবে। এত পর্যটক আসছেন, তারা থাকবেন কোথায়? পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঠিক করো, নতুন পর্যটন কেন্দ্র খোঁজো, হোম স্টে টুরিজমে গুরুত্ব দাও।’

পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিবকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একজন নোডাল অফিসার দাও। যে প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে কাজের মনিটরিং করবে। গজলডোবা প্রকল্পটি কবে শেষ হওয়ার কথা ছিল বলো? গৌতম কেন এমন হচ্ছে? প্রতিদিন একটা করে ভুল কাজ হচ্ছে ওখানে। গৌতমবাবু সেই সময় কিছু বলার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে বলেন, ‘বাইরের কাজ তো কিছুই হয়নি, ভিতরের ছবি দেখে আমি কী করবো? যে অবস্থা হয়ে আছে ওখানে পর্যটকরা তো হাঁটতে গিয়ে পড়ে যাবেন। এসব কাজ কে করেছে? এমন লোককে কেন কাজ করতে দাও? কেন এত সময় নিচ্ছো গৌতম? একটা কাজ শুরু হওয়ার পর বারবার থমকে গেলে প্রচুর ক্ষতি হয়। আমি যখনই গজলডোবা নিয়ে জানতে চাই, তুমি বলো সেপ্টেম্বর, আবার কখনও বলো ডিসেম্বর, কখনও বলে ১৫ জানুয়ারি। আজকে কত? মে মাসটাও তো চলে গেল। এটা কেন হবে? তাহলে কী কারো দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা নেই? এমন লোককে কাজ দেবে না যে কাজ করতে পারে না। তোমাদের তো নিয়মিত কাজটা করাতে হবে।’



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2skevDI

May 30, 2018 at 11:16PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top