আবুধাবি, ০৩ মে- হায়রে আমার মন মাতানো দেশ, হায়রে আমার সোনা ফলা মাটি..., দেশাত্মবোধক গান চলছিল। গাইছিলেন মহিলা সমিতির শিল্পীরা। হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রী জেগে ওঠে। চোখের সামনে দেখি শিমুল ফুল। অন্য জায়গায় শাপলা তুলছে বালিকাটি। ছাতিম গাছ, সঙ্গে তার ফুল। ডালে বসা ঘুঘু। দুষ্টু ছেলেরা ঘুড়ি ওড়ায়, গোল্লাছুট খেলে। নদী তীরের কাশবন দুলছে বাতাসে। শিল্পীরা গেয়ে যান গান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে রমনা বটমূল কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট নেই। নেই টিএসসি বা রাজু ভাস্কর্য চত্বর। কোনো আয়োজন করতে একটি জায়গা কেবল আছে। সে আমাদের বাঙালির স্বর্গ। বাংলাদেশ স্কুল অডিটোরিয়াম। সেদিন সেখানেই অনুষ্ঠান চলছে। আবুধাবির এই মরুভূমিতে বর্ণিল বর্ষবরণ মানেই মহিলা সমিতি। সংগঠনটি বরাবরের মতো এবারও আয়োজন করল এই অনুষ্ঠানের। প্রবাসীরা আপনজন ছেড়ে ভেতরে-ভেতরে কষ্ট অনুভব করেন, এ কথা সত্য। তবে এরই ফাঁকে বর্ষবরণ বাদ পড়ে না। দিনটি ছিল গত শুক্রবার (২৭ এপ্রিল)। যথাসময়ে ওখানে সমবেত হন আত্মীয়স্বজন নিয়ে। সে কারণে বলতেই হয়, তারা অনেক অনেক ভাগ্যবান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকই বলছিলেন, এই আনন্দ উদ্যাপনের পালা যেন তাদের শেষই হয় না। এ ছিল তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে ছিল ফ্যাশন শো। দেশ মাতার গানের ভাঁজে এবার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে গণসংগীত। তাতে মিথ্যে, অন্যায় আর অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। আয়োজনের প্রথম ভাগে ছিল পিঠা উৎসব উদ্বোধন। এখানে নারীরা ঘর থেকে বানিয়ে এনেছেন হরেক রকমের পিঠা। শুধু প্রতিযোগিতা নয়, আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে নারী ফুটিয়ে তুলেছেন তার শাশ্বত রূপ। আয়োজনে আজ উচ্চারিত হয়েছে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা। মানুষ ভজলে মানুষ হবি মর্মবাণীতে সত্য ও সুন্দরের পথে ছুটেছেন তারা। নতুন প্রজন্ম যাতে শেকড়ের পরিচয় না ভোলে, সে জন্য ছিল তাদের গভীর মমত্ববোধ। তারা তাদের চিনিয়ে দিয়েছেন কোনটা কী দিয়ে তৈরি ও তার নাম কি। যেমন পিঠাচালের গুঁড়ি, দুধ, গুড় থেকে কীভাবে পিঠা হয়ে ওঠে তারও একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। এই সেদিন দূতাবাস নববর্ষকে বরণ করল। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানকে তারই পরিপূরক মনে করা যায়। আজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আনা হয়েছে পরিবর্ধন। হরেক রকমের পিঠা পায়েস আয়োজনকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। ফ্যাশন শোতে নারীরা বাংলার নির্ভেজাল সংস্কৃতিকে তুলে এনেছেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান আরও বলেন, আকর্ষণীয় এই অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণও ছিল বর্ণাঢ্য। দেশের সংস্কৃতিকে আত্মস্থ করে ছোটরা এখানে ঢেলে দিয়েছে তাদের মনোলোভা উপস্থাপনা। এককথায় পরিপূর্ণ একটা অবয়ব পেয়েছে আজকের এই অনুষ্ঠান। এই আয়োজনে তালপাখা, মাটির কলসি, ঢোল উপস্থাপন করা হয়েছে। মঞ্চের দেওয়ালে শান্তি বারতা আনয়নের চেষ্টা ছিল। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসেবে বরের পাতিল। সমৃদ্ধি বা সফলতার প্রতীক। ঢোল যে জীবনের জয় ঘোষণার জন্য। ছিল আরও আরও প্রতীক। শুরুতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পপি রহমান সবার উদ্দেশে জানান প্রাণের ভালোবাসা। চির নতুনের কেতন উড়িয়ে বাঙালির জীবনে আসে বৈশাখ। পয়লা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদিন সমস্ত বাঙালি ধর্ম-বর্ণের পরিচয় ভুলে নববর্ষের মহাআনন্দে মেতে ওঠে। কল্যাণ ও মঙ্গলময় জীবনের আহ্বান জানিয়ে দিনটি উদ্যাপন করেন তারা। অভিন্ন এক নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তার উপলব্ধি। তিনি বলেন, বাংলা আমাদের হৃদয়ের ভাষা। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে পারে বুকের গভীরে সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে এই সংগঠন। অনুষ্ঠান আয়োজনে সমিতির সদস্যরা এসেছেন। এখানে তাদের পরিবারের অন্যান্যরাও সমবেত হয়েছেন। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী। তিনি বলেন, পিঠা আয়োজন বাঙালির বিশেষ একটি পর্ব। পিঠা জড়িয়ে আছে আমাদের উৎসবে আনন্দে, পালা ও পার্বণে। বাঙালি আয়োজন করে তার প্রিয় বর্ষবরণ। নতুন করে স্বপ্ন সাজানোর মতোই। এতে যতটা রঙিন করে সাজানো যায় ততটা চেষ্টা এবং মনন থাকে তার। সে তার ভালোর সবকিছু ঢেলে দেয় এই আয়োজনে। সঞ্চালকই বলছিলেন, বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কারিশমা ইনাম। বাঙালি সমাজে বিয়ে নামক অনুষ্ঠানটির আছে একটি উজ্জ্বল দিক। নিজস্ব সাজসজ্জা তার ব্যক্তিত্ব ও রুচি পছন্দকে তুলে ধরে। এখানে মহিলা সমিতি দেখায় কনের বাড়ির সাজ। এলাহি কাণ্ড! এরই মধ্য দিয়ে তারা সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে ষোলো আনা। অবশ্যই শিল্পিত। পান-সুপারি আছে সে আপ্যায়নে। মিষ্টিতো বাঙালির আষ্টেপৃষ্ঠে যুক্ত। এ পর্বে বিশাল এক সাড়া পড়ে। যেন বিয়ে বাড়ি এটাই। ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলে গেছে এ পর্বটি। ড. হাবিব উল হক খোন্দকার। সমাজ তত্ত্ববিদ। নিখুঁত একটি উপস্থাপনা। বললেন, কনের বাড়ির আয়োজন নিয়ে। সিঙ্গাপুর থাকাকালে তারও ছিল এক সংগঠন। বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেরি সোসাইটি সে নাম। এপার বাংলা ওপার বাংলার অংশগ্রহণে এমন অনুষ্ঠান উপহার দিতে পেরেছেন তারা। তিনি ছিলেন সে সংগঠনের সভাপতি। আজ ছোটরা নেচেছে বসন্ত উৎসবে। চতুষ্কোণ ছবির এ নৃত্য। ওদের মঞ্চায়ন নিয়ে বললেন, অপূর্ব! অসাধারণ নির্বাচন ছিল গানের। এসব জ্বলে উঠেছে সমবেত কণ্ঠে। এ মুনশিয়ানা প্রকাশিত এই সুরে। জন্মের প্রথম মাহেন্দ্রক্ষণে নতুনের জন্য শুভকামনা ব্যাপ্ত সে গানে। বক্ষ ভেদ করে নিজেকে উন্মোচন করার তাগিদ। তাতে ঘোষিত হয় জীবনের জয় ব্যক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা। নোঙর তোলো তোলো সময় যে হোল হোল। হেইয়ারে হেইয়ারে, ও মাঝি ভাই মাঝি ভাই। পেছনের কথা ভুলে গিয়ে সামনে তাকানোর কথা উচ্চারিত। হৃদয়ে তোমার যে মুক্তির আলো। আলোর দুয়ার খোলা। কথা নইম গহর, সুর সমর দাস। উদ্দীপনামূলক গান। অসীম আগ্রহে শুনেছেন সবাই। আমরাও মানুষ, রক্ত মাংসের মানুষ। বহু চরাই-উতরাই পেরিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ক্লান্তিহীন আমাদের ছুটে চলা। ছোট এই জীবনটার অনেকগুলো সুখ আমরা ছুঁয়ে দেখতে পারি না। পৃথিবীকে দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা মানবতার বন্ধু। আমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারি। এরই মধ্য দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া, সময় যাচ্ছে প্রতিবাদের। আর বসে থাকা নয়। প্রিয় মাতৃভূমির কথা এসে যায় অনায়াসে। সে যে মনভোলানো হৃদয়জুড়ানো দেশ। এত দেখার পরেও যেন তার আকর্ষণ কমে না। সংগঠনের সভাপতি জাকিয়া হাসনাত জরুরি একটি কাজে ইউএইর বাইরে গেছেন। তাঁর পক্ষে সহসভাপতি আসমা সুলতানা মঞ্চে কথা বললেন। দেশ-মাটির অনুভব বুকে ধারণ করে অন্য সব আয়োজনেও অংশ নেয় এই সংগঠন। উন্নয়ন মেলা এল সে বক্তব্যে। দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল শিকদার বদিরুজ্জামান ছিলেন আমন্ত্রিত। তাঁকে অনুরোধ জানানো হলো মঞ্চে। তিনি গাইলেন জলের গান। শালুক ফুলের লাজ নাই রাইতে শালুক ফোটে, যার মনে যার ভালোবাসা সেইতো মজা লোটে। আরও গাইলেন, আমায় এত রাতে কেন ডাক দিলি। পল্লিগীতি সুরে সবাই পল্লিতে ফিরে পেলেন। নিউ মেডিকেল সেন্টার এখানে স্বনামধন্য এক নাম। আল-আইনে এরই কনসালট্যান্ট সার্জন মুস্তাফিজুর রহমান খান। বললেন, অসাধারণ একটি আয়োজন। দেশপ্রেম জাগ্রত করার বিশাল এক প্রয়াস। ড. মেহরাজ জাহান সেদিনও এসেছেন তাঁর বিদেশি এক সঙ্গীকে নিয়ে। এই নারী বাঙালির সংস্কৃতি এবং তার নিবেদন দেখছেন। তারা পিঠার স্বাদ নিয়েছেন। মেহরাজ বলেন, পরিচ্ছন্ন একটি অনুষ্ঠান। ফ্যাশন শো সম্পর্কে বিদেশিনী আনন্দে উদ্বেলিত। হাউমাউ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন, ওয়াও ফ্যান্টাস্টিক! প্রকৌশলী হামেদ হাসান ও হামিদুর রহমান পাশাপাশি বসা। বন্ধুর আলাপ চলছে। শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এলি হাসান ব্যস্ত মূল স্টলের কাজ সারতে। না খেয়ে উপায় নেই। সংক্ষিপ্ত মধ্যাহ্নভোজ হলো। মাছে-ভাতে বাঙালি। অন্য পদের পাশাপাশি রুপচাঁদা মাছ ছিল আয়োজনে। শহীদুল হক খান। তিনি মহিলা সমিতির প্রাণের সমর্থক। তারও ভালোবাসা পাই। এই সংগঠন মাটি ও মানুষের কৃষ্টি সংস্কৃতি গেঁথে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মকে। সে সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাচ্ছে সাত সাগর তেরো নদীর ওপারে। আমেরিকা-কানাডায় এখন তারা বৈশাখ উদ্যাপন করে। তিনি বলেন মহিলা সমিতির কৃতিত্ব এখানেই। শাড়ি-গয়না বা তার সাজসজ্জার মধ্য দিয়ে বাঙালি নারীর রুচি পছন্দের দিকটিও ফুটে ওঠে। একই দেশের ভিন্ন অঞ্চলের পৃথক ধর্মের চর্চিত বিষয়গুলো দেখতে পাই এমন সাংস্কৃতিক অনুশীলনে। বিদেশে মহিলা সমিতির মঞ্চ থেকে এসব তুলে ধরা হচ্ছে। অবশ্যই এটা বড় এক ব্যাপার। দূতাবাস পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে, এও এক উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি। মাসুমা খাতুন মাঝে মাঝে আসেন আবুধাবিতে। এবার মিলে গেছে মহিলা সমিতির বর্ষবরণে তাঁর সফর। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। জান্নাতুন নাহার। কথা বলি, শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খায়রুল জান্নাত গল্প করেন। তাঁরও প্রাণের আলাপ ছোটদের নিয়ে। আমি এগোই। শাহানা পারভীন। তাঁর মেয়ে ইশরাত আমার জ্যেষ্ঠা কন্যার বন্ধু। মেডিসিন তার পছন্দের সাবজেক্ট। সেটা নিয়েই তার চর্চা। আমি তার কল্যাণ কামনা করি। ফাঁকে একটি অণু পর্ব। মীর আনিসুল হাসান। তাঁর একটি কাব্যের বই বেরিয়েছে। নাম পত্র পতনশীল হাওয়া। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সেটি তুলে দিলেন তাঁর তিন বন্ধুকে। এই সংবাদকর্মীর নামটিও ছিল সেখানে। অন্য দুজন গণমাধ্যমের জাহাঙ্গীর কবির বাপ্পি ও মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান বেলায়েত হোসেন হিরো। উপস্থিত ছিল তাঁর প্রাণপ্রিয় ছাত্রীরা। ইশরা, আসমি, প্রমা, প্রিয়া, ইমশাদ নাজ ও নাজিফা। জায়েদা মুন্নির সঙ্গে কথা হলো। আগের বছর তাঁর মেয়ে মার্জিয়া সেলফি তুলেছিল। আমি ছবি নিয়েছিলাম। এবারও ঘটে গেছে সেই সেলফি তোলার পর্বটি। আমার ক্লিক এড়ায়নি। বললেন, বিস্ময়কর এক মিল! নওরিন ইকবাল বললেন, ছোটরা মঞ্চে খুব ভালো নেচেছে। নিলুফার ইয়াসমিন। তাঁর সঙ্গে আলাপ হলো। রিতু নামের এক তরুণী। দেশের বাড়ি নোয়াখালী। মহিলা সমিতির সদস্য হয়েছেন। বর্ষবরণে এবারই এখানে প্রথম আসা। চকচকে হাসি দিয়ে বললেন, মধুময় একটি সময় পার করলাম। মারবি তার নাম। কিশোরী দুবাই মারডক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। ভালো লাগার প্রকাশ। ফ্যাশন শো তার মন কেড়েছে। আসি স্কুল মাঠে, নিমতলা। এক জায়গায় দেখি সেলফির আয়োজন। লাকি হালদার উল্কার হাতে মুঠোফোন। আর তাঁরই সঙ্গে নাজনীন ইজাজ, মৈত্রী বড়ুয়া, সাইফুন্নাহার জলি, শরিফুন্নাহার জনি, নিরু চুন্নু, হাসিনা আজিজ। বিরাট এক বহর। দীর্ঘ এক নৌকা যেন! সামনের গলুইয়ে বসে ক্লিক করছেন। আমারও ক্যামেরা জ্বলে ওঠে। আরও দুজন ওখানে। তখন ভেতরে ফারজানা করিম এ্যানি নাচের জন্য কন্যার শাড়িটি ঠিক করে দিচ্ছেন। আজমেরি শেলী গোছাচ্ছেন তাঁর তিন নৃত্য কন্যাকে। আমার ক্লিক এড়ায় না। গানের রেশ শেষ হয় না। বিলের পাড় ধরে বোরো ধান, পাশে কচুরি। তারই মাঝখানে এক ফালি টলটলে জল। ছোট কোসা নাওয়ে পদ্মফুল তোলে কিশোরী। নদী পাড়ে বক, মুখে তার পুঁটি মাছ। পাল তুলে নৌকা চলে হাজার পসরা নিয়ে। বাংলার মতোই যেন সামনে ধাববান। হায়রে আমার বুকের মাঝে হাজার তারের বীণা বাঁজে। কাজের কথা মনে ধরে না। এমনি এক অনুভূতি নিয়ে আমরা ফিরি ঘরের দিকে। সূত্র: প্রথম আলো আর/০৭:১৪/০৩ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HPh6eA
May 03, 2018 at 02:30PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন