রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগালের সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো গোল্ডেন শু অ্যাওয়ার্ড জিতলেন আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার সেরা তারকা লিওনেল মেসি। পুরো মৌসুমে ইউরোপিয়ান লিগে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করে এই গোল্ডেন শু জিতলেন তিনি। এ পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমান অবস্থানেই ছিলেন মেসি ও রোনালদো। দুজনই চারবার করে গোল্ডেন শু জয় করেন। চলতি মৌসুম শেষে রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন মেসি। এবারের গোল্ডেন শু জয়ের ক্ষেত্রে মেসির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লিভারপুলের মিসরীয় খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ। গেলো এপ্রিলে মেসির চেয়ে আট গোল বেশি ছিল তার। কিন্তু স্প্যানিশ ফুটবল লিগে বার্সেলোনার হয়ে শেষ ছয় ম্যাচে আট গোল করে এবারের ইউরোপিয়ান লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হন মেসি। ইংলিশ লিগে লিভারপুলের হয়ে ৩২ গোল করেছেন সালাহ। তার চেয়ে দুই গোল বেশি নিয়ে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো গোল্ডেন শু জিতলেন মেসি। বার্সেলোনার হয়েই পাঁচবার এ কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। এর আগে ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১২-১৩ ও ২০১৬-১৭ মৌসুমেও এই ট্রফি জিতেছিলেন ৩০ বছর বয়সী মেসি। মেসির পর সর্বোচ্চ চারবার গোল্ডেন শু জিতেছেন রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে একবার এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনবার এই অ্যাওয়ার্ড জয় করেন রোনালদো। খারাপ ফর্মের কারণে এবারের লা-লিগায় নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। এবারের লা-লিগার মৌসুমে মাত্র ২৬ গোল করেছেন রোনালদো। গোলের ভিত্তিতে গোল্ডেন বুট নির্ধারণ করা হয়। ইউরোপের সেরা ৫টি লিগের প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট থাকে ২ করে। তাই ৩৪ গোলে সর্বোচ্চ ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে গোল্ডেন শু লাভ করেন মেসি। এদিকে, পর্তুগালের দল বেনফিকার জোনাসও করেছেন ৩৪ গোল। কিন্তু পর্তুগীজ লীগে প্রতিটি গোলের জন্য ১ দশমিক ৫ পয়েন্ট থাকায় গোল্ডেন শু জিততে পারেননি তিনি। অপরদিকে, কিংবদ্বন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে পেছনে ফেলে পঞ্চমবার লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার হিসেবে পিচিচি অ্যাওয়ার্ডও জিতলেন মেসি। এর আগে ২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৬-১৭ মৌসুমে পিচিচি ট্রফি জিতেন তিনি। মেসির সামনে এখন রয়েছেন তেমো জারা। সর্বোচ্চ ৬ বার পিচিচি ট্রফি জিতেন জারা। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ইউরোপিয়ান লিগগুলোয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ও পয়েন্ট : ১। লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)- ৩৪ গোল ও ৬৮ পয়েন্ট। ২। মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল)- ৩২ গোল ও ৬৪ পয়েন্ট। ৩। হ্যারি কেন (টটেনহ্যাম হটস্পার্স)- ৩০ গোল ও ৬০ পয়েন্ট। ৪। মাউরো ইকার্দি (ইন্টার মিলান)- ২৯ গোল ও ৫৮ পয়েন্ট। ৫। সিরো ইমোবিলে (লাৎসিও)- ২৯ গোল ও ৫৮ পয়েন্ট। ৬। রবার্ট লিওয়ানডোস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ)- ২৯ গোল ও ৫৮ পয়েন্ট। ৭। এডিনসন কাভানি (পিএসজি)- ২৮ গোল ও ৫৬ পয়েন্ট। ৮। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ)- ২৬ গোল ও ৫২ পয়েন্ট। ৯। জোনাস (বেনফিকা)- ৩৪ গোল ও ৫১ পয়েন্ট। ১০। লুইস সুয়ারেজ (বার্সেলোনা)- ২৫ গোল ও ৫০ পয়েন্ট। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন আর/১০:১৪/২১ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2s34Tw9
May 22, 2018 at 04:32AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top