রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত ওয়াংখেড়েতেই কেটেছে। ম্যাচ শেষে হোটেলে ফিরতে ফিরতে মধ্যরাত। রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর সুযোগ মেলেনি। সকালে জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ঢাকা চলে এসেছেন সাকিব আল হাসান। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিমানবন্দরে নামতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আইপিএল ফাইনালে তোলার অন্যতম রূপকার। স্বল্প কয়েক মিনিটের কথোপকথনে আইপিএলে তার নিজের পারফরম্যান্স, আফগানিস্তানের সাথে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান প্রসঙ্গ উঠে আসে। আইপিএল কেমন কাটলো? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, হ্যাঁ, ভালোই। সব ম্যাচ খেলতে পেরেছি। তবে রানটা মনে হয় একটু কম হয়ে গেছে। আরও রান করতে পারলে ভালো লাগতো। সেট হওয়ার পর আউট হয়েছি, সেটা খারাপ লেগেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি হবে ভারতের দেরাদুনে। যেখানে এর আগে কখনো খেলেনি বাংলাদেশ। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাবনা কি? জানতে চাওয়া হলে সাকিবের উত্তর, দেরাদুনে আগে কখনও খেলা হয়নি, তাই ঠিক বলতে পারছি না কেমন উইকেট হবে। তবে এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্পোর্টিং উইকেটেই খেলা হয়। আশা করি, নিশ্চয়ই ভালো উইকেটই হবে। টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে আফগানিস্তান আট নাম্বারে। বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে দশ। র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা ছাড়াও আফগানরা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তুলনামূলক আক্রমণাত্মক এবং শারীরিকভাবে শক্ত-সামর্থ্য। সবমিলে দেরাদুনে আফগানিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের পরিণতি নিয়ে খানিক চিন্তিত টাইগার সমর্থকরা। কেউ কেউ আফগানদের এগিয়ে রাখতে চান। সাকিবও সেই দলে। টাইগার অধিনায়ক মনে করেন, এ সিরিজে আফগানরাই ফেবারিট। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, টি-টোয়েন্টি ফরমেটে যে কোনো দিন যে কোনো যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। এই ফরমেটের পরতে পরতে অনিশ্চয়তা। উঠা-নামা। আফগানিস্তান যেহেতু আমাদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ আগে, সে আলোকে তারাই ফেবারিট। টি-টোয়েন্টিতে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার রশিদ খান। এবারের আইপিলে তার লেগস্পিন ও গুগলিতে নাকাল হয়েছেন বিরাট কোহলিসহ বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে একই দলে খেলেছেন সাকিব-রশিদ। ১৭ ম্যাচে ২১ উইকেট পেয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেটশিকারি রশিদ খান সময়ের আলোচিত লেগস্পিনার। এক সপ্তাহ পর তাকেই খেলতে হবে। তামিম-মুশফিক-সাকিব ও মাহমুদউল্লাহরা রশিদ খানকে ঠিকমতো মোকাবেলা করতে পারবেন? আরও পড়ুন: এবারের আইপিএলে যে যেই পুরস্কার পেলেন অনেক অন্তঃপ্রাণ বাংলাদেশ সমর্থকেরও মনে সংশয়। একই প্রশ্ন করা হলো সাকিবকেও। রশিদ খানকে নিয়ে আপনার চিন্তা কি? এই আফগান লেগি কি টিম বাংলাদেশকে ভোগাবেন? তাকে নিয়ে আপনার নিজের চিন্তা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব মনে হয় খানিক চটে গেলেন। যা বললেন তার সারমর্ম হলো, রশিদ খানকে নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে! সাকিবের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবাই কম বেশি ভালো পারফরমার। কাউকে নিয়ে খুব বেশি কথা-বার্তা, আলোচনার কিছু নেই। আমার মনে হয়, রশিদ খানকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এখন আমি যদি রশিদ খান প্রসঙ্গে কোনো কথা না বলি। তার বিষয়ে আমার মনে হয় না, আলাদা করে কোনো কিছু বলার প্রয়োজন আছে। তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ২৪ আরএস/০৯:০০/ ২৮ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2IRw3BH
May 29, 2018 at 02:12AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top