সুরমা টাইমস ডেস্ক:: দুই বছর আগে মোবাইল ফোনের রং নাম্বারে রাজবাড়ীর এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয় শরিয়তপুর জেলার শখিপুরের হযরত আলী রারীর লম্পট ছেলে আল মামুনের। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে জোড়পূর্বক মারপিট করে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর পরই থানা পুলিশের সদস্যরা শরিয়তপুর জেলার শখিপুর এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে বুধবার ভোরে উদ্ধার করেছে।
ওই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো, আল মামুনের বাবা হযরত আলী রারী, আল মামুনের বোন জামাই আনিচুর রহমানসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪জন।
দুপুরে রাজবাড়ী থানায় অবস্থান করা ওই ছাত্রী বলেন, ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে তারা কথা বলতো এবং তার সাথে দেখা করত আল মামুন রাজবাড়ীতে আসতো। তবে তিনি মামুনকে পাত্তা দিতেন না। যে কারণে সে সাম্প্রতিক সময়ে মামুনের সাথে কথা বলাও বন্ধ করে দেন। এতে মামুন ক্ষিপ্ত হয়।
গত সোমবার দুপুরে সে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সে জেলা শহরের ডাকবাংলো মোড়ে এলাকায় পৌছতেই হঠাৎ করেই মামুন ও তার সহযোগিতা তার গতিরোধ করে এবং জোড়পূর্বক মারপিটের পাশাপাশি মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে শরিয়তপুর জেলার শখিপুর এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রাখে।
ওই ছাত্রীর বোন জানায়, তার বোনকে তুলে নিয়ে যাবার পর বিকালের দিকে আল মামুন নিজ পরিচয় দিয়ে তার বোনকে তুলে নিয়ে যাবার কথা জানায় এবং তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকেও অপহরণের বর্ণনা শুনতে পান। পরবর্তীতে পৃথক আরো চারটি মোবাইল নাম্বার থেকে তাকে এবং তার বাবার নম্বর ফোন করে হুমকী-ধামকী প্রদান করা হয়।
রাজবাড়ী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, বিষয় জানার পর পরই থানায় মামলা রেকর্ড করা এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে তারা তৎপড় হয়ে ওঠেন। যার অংশ হিসেবে শরিয়তপুর জেলার শখিপুর এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন।
তবে আসামিরা আত্মগোপন করায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গতকালই রাজবাড়ী হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই সাথে আদালতে ওই ছাত্রীর জবানবন্দীও রেকর্ড করা হয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2jvPp00
May 04, 2018 at 11:40PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন