কলকাতা, ০৬ মে- মধুমিতা প্রামাণিক (২০) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লাশ দেখে চমকে যায় পুলিশ। কারণ নিহত মধুমিতার বাঁ হাতে লেখা ছিল- আমার ডায়েরিটা দেখুন! শনিবার সকালে কলকাতা হাওড়ারের শ্যামপুর কাঠিলাবাড় গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধারের পর বাড়ির পাশের পুকুরপাড় থেকে পুলিশ ডায়েরিটি উদ্ধার করেছে। তদন্তকারীরা জানান, স্ত্রীর মৃত্যুর পর নেপাল ডায়েরিটি নষ্ট করার জন্য পুঁতে দেয় বলে জেরায় জানিয়েছে। ডায়েরিটি পরিষ্কার করে লেখা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তদন্তে তা কাজে আসবে। নিজের আত্মঘাতী হওয়ার ইঙ্গিত এভাবেই দিয়ে গেছেন ওই তরুণী। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে তার স্বামী নেপাল প্রামাণিক ও ভাসুর গোপালকে। এ ঘটনায় মৃতের শাশুড়িও অভিযুক্ত। তবে তিনি পলাতক। মধুমিতার বাবা পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বাসিন্দা ভরতচন্দ্র পড়্যার দাবি, শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের কথা মেয়ে নিজের ডায়েরিতে লিখে গেছে। পড়লেই জানা যাবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে মধুমিতা-নেপালের বিয়ে হয়। নেপাল কাঠমিস্ত্রি। বিয়ের সময়ে মধুমিতার বাড়ি থেকে পণে নগদ টাকা ও গহনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সোনার গহনা মধুমিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পছন্দ হয়নি। অভিযোগ, সে জন্য প্রায়ই নববধূকে গঞ্জনা শুনতে হতো। এক সপ্তাহ আগে নেপালদের বাড়ি থেকে কিছু টাকা খোয়া যায়। এ জন্য মধুমিতাকে সন্দেহ করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বাবা ভরতের অভিযোগ, ওই ঘটনায় মেয়েকে চোর অপবাদ দিয়ে গালাগাল করে ওরা। দুদিন খেতে দেয়নি। বলা হয়, বাপের বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা না আনলে খুন করা হবে। মেয়েকে ওরা শ্বাসরোধ করে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়েছে। শনিবার সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে বাবারবাড়িতে জানানো হয়, মধুমিতা আত্মহত্যা করেছেন। এর পর তিনি কাঠিলাবাড়ে এসে মধুমিতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তথ্যসূত্র: যুগান্তর আরএস/০৯:০০/ ৬ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2roaYUC
May 06, 2018 at 06:13PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top