হায়দরাবাদ, ১০ মেঃ বিশেষভাবে সক্ষম ৩৮ বছর বয়সী পাত্রের সঙ্গে জোরকদমে বিয়ের আয়োজন চলছিল ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর। খবর পেয়ে বিয়ে রুখল পুলিশ। ঘটনাস্থল হায়দরাবাদ।
জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ওডিশার বালেশ্বর জেলা থেকে কাজ খুঁজতে হায়দরাবাদে আসেন এক দম্পতি। যে বাড়িতে তাঁরা থাকছিলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে তার ভাড়া দিতে অসমর্থ হন তাঁরা। তাই মিটমাট করতে বাড়িওয়ালা চেন্নাইয়া গুপ্তা তার ছেলের সঙ্গে ওই দম্পতির মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চেন্নাইয়ার ছেলে রমেশের বয়স ৩৮ বছর। জন্মসূত্রে হাঁটা-চলায় অসুবিধে থাকার কারণে সব সময় রমেশের যত্ন নেওয়ার দরকার পড়ে। সেই উদ্দেশেই অভাবী ওডিয়া দম্পতির মেয়েকে পূত্রবধূ করার ফন্দি আঁটে গুপ্তা পরিবার।
ঋণ পরিশোধের উপায় পেয়ে জোর করে মেয়েকে বিয়ের মণ্ডপে হাজির করেন বাবা-মা। মেয়েটির মা ঊর্মিলা জানিয়েছেন, হায়দরাবাদে আসার পর থেকেই তাঁদের নানা ভাবে সাহায্য করে গুপ্তা পরিবার।
বুধবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদ শহরের এক মন্দিরে আয়োজিত বিয়ের মণ্ডপে হানা দেয় পুলিশ ও স্থানীয় শিশু কল্যাণ দপ্তরের কর্তারা। বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। আপাতত সে একটি হোমে আছে। চেন্নাইয়া গুপ্তা, তাঁর স্ত্রী পল্লি রামাচন্দ্রম্মা ও ছেলে রমেশ গুপ্তার বিরুদ্ধে নাবালিকা বিবাহ আইনে মামলা করা হয়েছে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2KUdIRK
May 10, 2018 at 10:50PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন