অকালপ্রয়াত ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ সবশেষ আরটিভির কেমন বাংলাদেশ চাই শিরোনামে একটি টকশোতে এসেছিলেন ১৪ মে। সেখানে তিনি দেশের যানবাহনের অব্যবস্থাপনা ও মহাসড়কের দুর্ভোগের কথা বলেছিলেন। যানজটে ব্যক্তি ও পরিবারের প্রতি কী ধরনের প্রভাব ফেলছে? অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সৈয়দ আশিক রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ তার একটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, পরশুদিন (১২ মে) রাত সাড়ে ১০টায় গ্রিনলাইন বাসে কক্সবাজার থেকে রওনা দিলাম। সেটা এসে থামলো সায়েদাবাদ পরেরদিন বিকেল সাড়ে ৪টায়। তার রুট পারমিট নেই বলে আমাদের রাস্তায় নামিয়ে দিলো। এরপরে গেলে নাকি সে কেইস খাবে। এইভাবে যদি বড় কোম্পানির বাসগুলো অনিয়ম করে তাহলে কীভাবে হবে?...যাবার সময় যেটা হলো যেখানে থামার কথা সেখানে না থেমে থামলো একটা মসজিদের সামনে। আমাদের বলা হলো যান মসজিদে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসেন। মেয়েরা কি করে মসজিদের ভিতর যাবে? আমাদের যানবাহনগুলো মোটেই নারীবান্ধব না। এমনটি আমাদের রাস্তাঘাটগুলোও নারীবান্ধব না। এভাবেই তিনি সেদিন তার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা আরটিভিকে জানিয়েছিলেন। আরটিভিতে এসে তিনি আর কখনও বলবেন না সমাজের নানা অসঙ্গতির কথা, তার অভিজ্ঞতার কথা। তাজিন আহমেদ মৃত্যুর ১৩ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার ভোর ৪টায় শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ভালোলাগা মুহূর্তগুলো সব সময় স্মৃতি হয়ে যায়। তার শেষ এই ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর সত্যি সত্যি নিজেই এখন স্মৃতি হয়ে গেছেন। তার এই অসময়ে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার-পরিজন, ভক্ত, স্বজন, সহকর্মীরা। তাইতো তার উজ্জ্বল স্মৃতিগুলো জ্বলজ্বল করে ভাসছে চোখের তারায়। তার সঙ্গে ভালো লাগার মুহূর্তগুলোর কথা মনে করে সবাই যেন শোকে বিহ্বল, দিশেহারা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তাজিন। পরে তাকে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। পরে বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। ১৯৯৬ সালে বিটিভিতে প্রচারিত দিলারা ডলি রচিত ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত শেষ দেখা শেষ নয় নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাজিন আহমেদ অভিনয়জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য নাটক-টেলিছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তিনি মামুনুর রশীদের নেতৃত্বাধীন আরণ্যক নাট্যদলে অভিনয় করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন নাটকে কিছুটা অনিয়মিত ছিলেন। তবে কিছুদিন আগেই মঞ্চে আরণ্যকের দর্শক নন্দিত ময়ূর সিংহাসননাটকে অভিনয় করেন। তাজিনের আকস্মিক মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মৃত্যুর আগে তিনি তার ভালোলাগা মুহূর্তগুলোর কথা লিখেছিলেন, সেই ফেসবুক যেন এখন হয়ে উঠেছে তাকে উৎসর্গ করা শোকবই। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১০:১৪/২২ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2s1uHcR
May 23, 2018 at 06:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন