মো: আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: চাঁদনীর বাবা ‘নিখোঁজে’র সময় তার বয়স ছিল তিন বছর। সে ছোট্ট চঁদনী এখন ন’বছরের। ‘নিখোঁজ’র সময়টা যতো দীর্ঘ হচ্ছে ততোই বাবাকে না দেখার, না পাওয়ার যন্ত্রণা ঘিরে ধরছে তাকে। এখন প্রতিটা সময়ে বাবাকে খুব মিস করে সে। রাতে ঘুমুতে গেলে স্বপ্নে দেখে বাবার মুখ। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বাবার অপেক্ষায় ইলিয়াসের সাথে ‘নিখোঁজ’ তার গাড়ীচালক আনসার কন্যা চঁদনী। আনসারের গ্রাম উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের গুমরাগুলে। গ্রামের একটি একাডেমীতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে চঁদনী।
চাঁদনী সাংবাদিকদের বলেন, আমি আব্বুর অপেক্ষায়। ঈদে আব্বু আমার জন্যে জামা ও অনেক খেলনা নিয়ে আসতেন। ঘুমুতে গেলে স্বপ্নে আব্বুকে দেখতে পাই। দেখি, আব্বু বাড়ি এসে আমাকে আদর দিয়ে আবার চলে যাচ্ছেন। জেগে আব্বুকে যখন দেখিনা তখন খুব কষ্ট হয় আমার। ঈদের দিনে আব্বুকে আরো বেশি মনে পড়ে। খুব কান্না পায় আমার। এদিকে স্বামী নিখোঁজের যন্ত্রণা, বাবার আদর বঞ্চিত চাঁদনী আর অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে আজও উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন কাটছে মুক্তা বেগমের। এ অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না।
আনসারের স্ত্রী মুক্তা বেগম নিজের আশার কথা জানিয়ে বলেন, আমরা তিনি ফিরে আসার অপেক্ষায়। নিখোঁজের পর থেকে চরম হতাশায় দিন পার করছি। তিনি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তার স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে গাড়ীচালক আনসারসহ নিখোঁজ হন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এম.ইলিয়াস আলী। দীর্ঘ ছয় বছরেও এ ‘নিখোঁজ রহস্যে’র জট খুলতে পারেনি কেউ।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2MxjadU
June 15, 2018 at 11:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন