মুম্বাই, ২৫ জুন- তৈমুর আলি খান, ইনায়া নওমী খেমু এই সেলেব কিড(তারকা সন্তান) যে যেকোনও বলিউড তারকার জনপ্রিয়তাকেই হার মানাতে পারে। বিশেষ করে ছোট্ট নবাব তৈমুরের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই ভালো। তবে ইদানীংকালে তৈমুরের গুন্ডামি একটু বেশিই বেড়েছে, সেকথা কি জানেন? সম্প্রতি তৈমুরের দুষ্টুমি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ তার বাবা সাইফ আলি খান। সাইফের কথায়, তার ছেলে তৈমুর আসলে একটা গুন্ডা। এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ভারতের জিনিউজ পত্রিকা। কিছুদিন আগে সোহা আলি খান বলেন, তৈমুরের যা বয়স, ও এই বয়সে সবকিছু নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে যায়। ও এখন সবকিছুই ধরতে পারে। ক্রমাগত এই বিষয়টা ওর মধ্যে বাড়ছে। ও এখন সবকিছু ধরছে আর সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। আর ইনায়া এখন বড্ড ছোট। তাই আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি। তাই ওদের দুজনকে পাশাপাশি রাখতেও আমরা ভয় পাই। বিশেষ করে ভাই (সাইফ) তো খুব ভয় পায়। তৈমুর যখন ইনায়ার কাছাকাছি থাকে ভাই (সাইফ) ভীষণই ভয়ে ভয়ে থাকে। তবে সোহা যেসময় তৈমুরকে নিয়ে এসব কথা বলেছিল, সেসময় থেকে এখন যে বিশেষ পার্থক্য ঘটেনি তা বোঝাই যাচ্ছে। সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৈমুর ও ইনায়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাইফ বলেন, ওরা ঘরে একসঙ্গেই থাকে (তৈমুর ও ইনায়া) ইনায়া খুবই ছোট এবং ভীষণই শান্ত। আর তৈমুর ততটাই দুষ্ট, অত্যাচারী। যদিও আমরা সবসময় ওদের দুজনকে ঘিরে থাকার চেষ্টা করি তাই চিন্তার কিছু নেই। তবে তৈমুর একটা গুন্ডা। আমার তো সব সময় আতঙ্ক লাগে যে ও ইনায়ার চুল ধরে না টানাটানি করে। সাইফ আরও বলেন, বাড়িতে একসঙ্গে থাকলে আমি কুণালের (কুণাল খেমু) সঙ্গে গল্প করতে থাকি। আর সোহা ও কারিনা বাচ্চাদের নিয়েই আলোচনা করতে থাকে। সোহা মাঝে মাঝে আমায় পরামর্শ দেয়। তবে বেশিরভাগ সময় ও আর কারিনা বাচ্চাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আর আমরা বাড়ির এককোণে বসে আড্ডা দিতে থাকি, মদ্যপান করতে থাকি। পাশাপাশি, তৈমুরকে নিয়ে আরও অনেক কথাই শেয়ার করেন সাইফ, তিনি বলেন, তৈমুর সকাল সাড়ে ৭টায় ওঠে আর আমি ৯টায়। ও ঘুম ভাঙলেই আমার বিছানার উপর ওঠে, সেখানে রাখা টর্চটা নেয়, আর সেটা জ্বালিয়ে নিজের জিভের উপর ফেলে, যেন সে একজন চিকিৎসক। ও এসবই করতে থাকে। তবে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ও চাঁদ দেখে। ও ওটা দেখতে ভীষণ ভালোবাসে, প্রকৃতি, গাছপালা ও খুব ভালোবাসে। সম্প্রতি ও যোগা করছে। ওটা করার সময় ও মুখে নানান রকম আওয়াজ করে, যেটা খুবই বিরক্তিকর। ও শরীর নুইয়ে যোগা করতে যায়, আর সব সময়ই ওল্টে পড়ে যায়।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2lwFRmi
June 24, 2018 at 10:23PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top