নয়া দিল্লী, ২৮ জুলাই- ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের ৮৮তম জন্মদিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ডুডল করেছে সার্চজায়ান্ট গুগল। শনিবার প্রথম প্রহর থেকেই গুগলের হোমপেজে এ ডুডল দেখতে পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। ডুডলে দেখা যাচ্ছে, মাইক্রোফোনের সামনে গান গাইছেন ফিরোজা বেগম। পরনে শাড়ি, গলায় বড় মালা আর খোপায় ফুটে উঠেছে তার চিরাচরিত প্রতিচ্ছবি। ফিরোজা বেগমের জন্ম ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান জেলা) রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে। তার বাবার নাম খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল এবং মায়ের নাম বেগম কওকাবুন্নেসা। শৈশবেই তার সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ জন্মে। ১৯৫৪ সাল থেকে কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে সুরকার, গায়ক ও গীতিকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। এ দম্পতির তিন সন্তান - তাহসিন, হামীন ও শাফীন রয়েছে। হামিন ও শাফিন - উভয়েই রকব্যান্ড দল মাইলসের সদস্য। ১৯৪০-এর দশকে তিনি সঙ্গীত ভুবনে পদার্পণ করেন। ফিরোজা বেগম ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে ৭৮ আরপিএম ডিস্কে ইসলামী গান নিয়ে তার প্রথম রেকর্ড বের হয়। কিছুদিন পর কমল দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে উর্দু গানের রেকর্ড হয়। এ রেকর্ডের গান ছিল- ম্যায় প্রেম ভরে, প্রীত ভরে শুনাউ আর প্রীত শিখানে আয়া। ১০ বছর বয়সে ফিরোজা বেগম কাজী নজরুলের সান্নিধ্যে আসেন এবং তার কাছ থেকে তালিম গ্রহণ করেন। নজরুলের গান নিয়ে প্রকাশিত তার প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪৯ সালে। কাজী নজরুল অসুস্থ হওয়ার পর ফিরোজা বেগম নজরুলসঙ্গীতের শুদ্ধ স্বরলিপি ও সুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৩৮০টির বেশি একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন প্রখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পী। নজরুলসঙ্গীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজন, হামদ ও নাতসহ বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। জীবদ্দশায় তার ১২টি এলপি, ৪টি ইপি, ৬টি সিডি ও ২০টিরও বেশি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৭:১৪/২৮ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OoRNUD
July 28, 2018 at 02:53PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top