শিশু বিক্রিতে নাম জড়াল ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’র

রাঁচি, ৫ জুলাইঃ শিশু বিক্রির ব্যবসায় নাম জড়াল আর্তের সেবায় নিবেদিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির। শিশু বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই সন্ন্যাসিনী-সহ তিন মহিলা।

মাদার টেরেসা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রাঁচির জেল রোড শাখায় নিযুক্ত দুই সন্ন্যাসিনী ও এক মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে আশ্রমে পালিত শিশু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বুধবার ঘটলেও প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। কোতওয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামানন্দ মন্ডল বুধবার জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০ নম্বর ধারায় এফাইআর-এর ভিত্তিতে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অনিমা ইন্দোয়ার নামে এক মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই সন্নাসিনীর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে এবং শীগ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে রাঁচির শিশুকল্যাণ কমিটি(সিডব্লিউসি) অনুসন্ধানে গিয়ে জানতে পারে, আশ্রমের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
সিডব্লিউসি সদস্য প্রতিমা তিওয়ারি জানান, ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটির জেলরোড শাখায় সেই সমস্ত অবিবাহিত সন্তানসম্ভবাদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যাঁরা অন্য কোথাও সন্তান প্রসব করতে অপারগ। গত সপ্তাহে নিয়মিত অবনুসন্ধানে গিয়ে আমরা জানতে পারি যে, প্রতিষ্ঠানে জন্ম নেওয়া একটি শিশুপুত্রের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।’
অনুসন্ধানকারীদের প্রশ্নের জবাবে এক সন্ন্যাসিনী জানান, শিশুটিকে তার মা নিয়ে চলে গিয়েছেন।
প্রতিমা তিওয়ারি জানান, ‘সন্তানের মাকে টেলিফোনে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে শিশুটি তাঁর কাছে নেই। এরপর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর সিস্টাররা উত্তরপ্রদেশের এক পরিবারকে ডেকে পাঠান, যাঁদের কাছে ওই শিশুপুত্রটিকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল।’
গত মঙ্গলবার ওই পরিবার সিডব্লিউসি দপ্তরে এসে জানান যে, হাসপাতালের ফি হিসেবে তাঁদের থেকে ওই অর্থ নেওয়া হয়েছে। জেরায় অনিমা ইন্দোয়ার স্বীকার করেছেন, এখনও পর্যন্ত ৫টি শিশুকে বিভিন্ন পরিবারের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তিনি তার একটি লিখিত তালিকাও দিয়েছেন।
শিশু বিক্রির ব্যপারে সমাজকর্মী বৈদ্যনাথ কুমার জানান, ২০১৫ সাল থেকে শিশু দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করলেও মিশনারিজ অফ চ্যারিটির জেল রোড শাখা শিশু বিলিয়ে দেওয়ার প্রথা চালু রেখেছে। সেখানে কিছু মহিলাকে সদর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, জন্মগ্রহণের পর ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু তাঁদের দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখা রয়েছে। সেই সমস্ত শাখার কর্মীদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2IVYGZm

July 05, 2018 at 10:43PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top