সেন্ট কিটস, ২৮ জুলাই- সেন্ট কিটসে শুরুটা করে দিলেন তামিম ইকবাল। ধীর শুরুর পর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। মিডল অর্ডারে হাল ধরলেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে করলেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়াল ৬ উইকেটে ৩০০ রান। সিরিজ জিততে হলে ক্যারিবীয়দের পাহাড় ডিঙাতে হবে। শনিবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরলয়ে শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়ে টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেন বিজয়। দলীয় ৩৫ রানে ৩১ বলে ১০ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে পাওয়েলের তালুবন্দি হন তিনি। তামিমের সঙ্গী হন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব। ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়ে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম ইকবাল। ৬৬ বলে স্পর্শ করেন ৫০। দারুণ খেলতে খেলতে হুট করেই ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব আল হাসান। রান তোলার তাড়া কাজ করছিল তার মধ্যে, যেটা দলের জন্যও জরুরি। অফস্পিনার অ্যাশলে নার্সকে সুইপ করতে চেয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় কিমো পলের গ্লাভসে। ৪৪ বলে ৩৭ রান করে ফিরেন তিনি। সাকিবের বিদায়ের সঙ্গে ভাঙে তামিমের সঙ্গে তার ৮১ রানের দারুণ একটি জুটি। এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গী হন গত ম্যাচে নায়ক থেকে ভিলেন হওয়া মুশফিক। ১৪ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১২ রান করে নার্সের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তবে ধারাবাহিকতার প্রতিশব্দ হয়ে ওঠা তামিম ইকবাল ক্যারিবীয় সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি উপহার দেন। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন হাফ সেঞ্চুরি। আজ সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে ১২০ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি। অবশ্য ১০৩ রানেই তিনি দেবেন্দ্র বিশুর বলে কায়রন পাওয়েলের তালুবন্দি হন। রান তোলার তাড়ায় পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেই ঝড় তোলেন অধিনায়ক মাশরাফি। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে ক্রিস গেইলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ক্যারিয়ারের ১৯তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। ছক্কা মেরে ফিফটি করার পথে ৪৪ বল খেলেছেন রিয়াদ। মেরেছেন ৪টি চার এবং ২টি ছক্কা। অন্যদিকে যথারীতি ব্যর্থ সাব্বির রহমান। ৯ বলে ১২ রান করে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। তবে আগের মতোই বিধ্বংসী মাহমুদ উল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজের সর্বোচ্চ স্কোর করে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। মোসাদ্দেক ৫ বলে ১১* রান করে অবদান রাখেন। দলের স্কোর দাঁড়ায় ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০০। সূত্র: কালের কন্ঠ এমএ/ ১১:২২/ ২৮ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2vgw5cv
July 29, 2018 at 05:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন