ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলের পেস বিভাগের নেতৃত্ব তার হাতে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাশরাফির বলের গতি কমেছে কিন্তু বেড়েছে সুইং। নিখুঁত লাইন লেন্হে বল করে প্রতিপক্ষ শিবিরে চাপ প্রয়োগ করছেন। একটা সময় বাধ্য হয়েই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে হয় ব্যাটসম্যানদের। বাংলাদেশ দলের টার্নিং পয়েন্ট বলতে মাশরাফিই। মোস্তাফিজ-রুবেলদের মতো এক স্পেলে তিনি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন না। কিন্তু প্রত্যেকটা ম্যাচে দারুণ ইকোনমি বল করার পাশপাশি দুই-একটি উইকেট নিয়ে বাকিদের জন্য কাজটা সহজ করে দেন। একজন আদর্শ পেস বোলারের যে গুণ থাকা দরকার ম্যাশের সবই আছে।নিয়মিত উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি কম ইকোনমিতে বল করা একজন পেসারের জন্য খুবই কঠিন। আর এই কঠিন কাজটিই করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। সেক্ষেত্রে টাইগার অধিনায়ক পেছনে ফেলেছেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও প্রোটিয়া গতি দানব মরেন মরকেলের মতো পেসারদের। গত পাঁচ বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে কমপক্ষে ৮০ উইকেটের পাশাপাশি কম ইকোনমিতে বোলিং করা পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে মাশরাফি। মাশরাফির সামনে এখন শুধু অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। ৬০ ম্যাচে ৫.০০ ইকোনমিতে মাশরাফির সংগ্রহ ৮০ উইকেট। শেষ পাঁচ বছরে ৫৩ ওডিআইতে স্টার্কের সংগ্রহ ১০৪ উইকেট এবং ইকোনমি ৪.৮৯। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে মরকেল। গড়ে ৫.০৮ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন ৫৫ ম্যাচ ধরে এবং নিয়েছেন ৮২ উইকেট । এছাড়া এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ৫৮টি ওয়ানডেতে ৫.১১ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১১৬টি উইকেট। সর্বশেষ ওডিআইতে গায়নায় একইরূপ দেখা যায় ম্যাশের। রান কম দিয়ে ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে উইকেট তুলে নেন তিনি। ১০ ওভারে মাত্র ৩৭ রান খরচায় মাশরাফি শিকার করে ৪ উইকেট। এমএ/ ০৩:০০/ ২৪ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2A5ylsV
July 24, 2018 at 09:06PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top