শিলিগুড়ি, ৬ জুলাইঃ ‘উত্তরের ইলিশ’কে নদীতে ফেরাতে উদ্যোগ নিল মত্স্য দপ্তর। বোরোলি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীয়ালি মাছের প্রজনন বাড়াতে পুকুরে শুরু হয়েছে নতুন বিপ্লব। ইতিমধ্যেই কোচবিহার থেকে বালুরঘাট-এই কাজে মিলেছে সাফল্য। ফলে দু-এক বছরের মধ্যে ছোটো মাছের আকাল আর থাকবে না বলে আশাবাদী মত্স্য দপ্তরের কর্তারা। মত্স্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা (উত্তরবঙ্গ) রাপদেন ফোনিং ভুটিয়ার বক্তব্য, ‘তিস্তা থেকে কালজানি, তোর্ষা থেকে রায়ডাক, প্রতিটি নদীতে মাছের আর অভাব দেখা দেবে না।’
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পুকুরে শুরু হয়েছে বোরোলি সহ বিভিন্ন প্রজাতির নদীয়ালি মাছের প্রজনন। যাতে মিলেছে সাফল্যও। কিন্তু কী করে সম্ভব হল? পুকুরের জল স্থির এবং বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নদীর সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে। রাপদেন ফোনিং ভুটিয়া বলেন, ‘প্রথমে নজর দেওয়া হয়েছে যাতে পুকুরের জল স্থির না থাকে। এক জন্য মোটরচালিত যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।’ জানা গিয়েছে, মাছের চারা, যন্ত্র, জাল এবং খাবার সমস্ত কিছুই সরবরাহ করছে মত্স্য দপ্তর।
মত্স্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এবং জলপাইগুড়ির রানিনগরে প্রজনন করা হচ্ছে বোরোলি, ট্যাংরা, চুনোপুঁটি ও পাবদার। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে রুপচাঁদা, গেলচা ট্যাংরা, ভিয়েতনাম কই-এর মতো কিছু মাছের জন্য। কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় ময়না মডেলের রুই, কাতলার সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে শিং, মাগুর সহ বিভিন্ন নদীয়ালি মাছের প্রজননে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2KKgxaT
July 06, 2018 at 01:06PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন