বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপকরণ সহায়তার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অঃ দঃ) সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন তিন মৎস্য চাষী। অভিযোগকারীরা হলেন, উপজেলার শাহজিরগাঁও গ্রামের মৃত সামছুল হক মধু মিয়ার ছেলে কয়েছ আহমদ, মৃত তেরা মিয়ার ছেলে ছালিক আহমদ ও আলমনগর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রহমত আলী। সোমবার দুপুরে তারা এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বনাথের সফল মৎস চাষী সারেং মৎস্য খামারের পরিচালক কয়েছ আহমদের সাথে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল যৌথ মৎস্য চাষের চুক্তি করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অঃ দঃ) সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। ঢাকা মৎস্য ভবন’র ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ চুক্তি সম্পাদন করা হয়। চুক্তিপত্র অনুযায়ী চাষীকে ৫০ হাজার টাকার উপকরণ সহায়তা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি অপ্রতুল তেলাপিয়া’র পোনা ও ১০ হাজার টাকা দেন কয়েছ আহমদকে।
চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও কয়েছ পাননি অবশিষ্ট আর কোন সহায়তা। মৎস্য অফিসের সহায়তা না পেয়ে ভেস্তে গেছে তার মৎস্য চাষ প্রকল্প। এদিকে, কৌশলে পুরো ৫০ হাজারের উপকারণ সহায়তা প্রাপ্তির রেজিষ্ট্রারেও নেয়া হয় কয়েছ আহমদের সই। একই ভাবে ৩০ হাজার টাকা সহায়তার চুক্তি করা হয় ওই আরেক মৎস্য চাষী ছালিক আহমদের সাথে। তার সাথে চুক্তি অনুযায়ী উপকরণ সহায়তা ও রুই, কাতলা, মৃগেল মাছের পোনা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি দিয়েছেন ১ কেজি গনিয়া মাছের রেণু ও ১০ হাজার টাকা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও মৎস্য কর্মকর্তা আর খবর নেননি তার। যৌথ মৎস্য চাষ আলোর মুখ না দেখায় এখন একক ভাবে মৎস্য চাষ করছেন তিনি।
মৎস্য চাষী রহমত আলীর সাথেও ৩৫ হাজার টাকার উপকরণ সহায়তার চুক্তি করেন সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। পরে রহমতকে তার সিলেটের বাসায় নিয়ে মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে ক্ষমা চেয়ে নেন। এবং পরে অন্য প্রকল্পে তাকে বরাদ্দ দেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2vYuLft
August 20, 2018 at 08:20PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন