সিউল, ২৫ আগস্ট- দক্ষিণ কোরিয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছেন বাংলাদেশিসহ স্থানীয় ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসী মুসলমানেরা। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গত মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দেশটিতে ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। রাজধানী সিউলে ইথেওন ইসলামিক সেন্টার (সেন্ট্রাল মসজিদ অব কোরিয়া), বুসান, ইনচন, দেগু, জয়ুনজু, আনসাং, সুআন, গোয়াংজু, জেজু দ্বীপ, খাংগনদু, গিয়ংগিদু, মাছুক, খুনসান ও পিয়ংটেকসহ ছোট বড় আরও কয়েকটি শহর এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষার্থী ও কোরীয় মুসলিম ফেডারেশনের (কেএমএফ) ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামাতে স্থানীয় মুসলমানদের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী মুসলমানের নামাজ আদায় করেন। সিউলে ইথেওন এলাকায় কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রধান ঈদে জামাতে মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যোগ দেন। ঈদ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট মুসলিম দেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও দেশটিতে কোনো সরকারি ছুটি ছিল না। এবারের ঈদ সরকারি কর্ম দিবস মঙ্গলবারে হওয়ায় বাংলাদেশিসহ প্রবাসী মুসলমান বেশির ভাগেরই ঈদ উদ্যাপন শুধু সকালে নামাজ আদায়ের পর ফেসবুকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও ইপিএস ভিসায় কর্মরত বিদেশি শ্রমিক যারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি পাননি, তাদের সকাল সকাল ঈদের নামাজ পড়ে যার যার কর্মস্থলে ছুটতে হয়েছে। আবার কিছুসংখ্যক প্রবাসী মুসলমান যে শহরে বাস করেন সেখানে কোনো মসজিদ বা ঈদের জামাতের ব্যবস্থা না থাকায় তারা অন্য শহরে গিয়ে ঈদের নামাজটুকুও আদায় করতে পারেননি। এ জন্য বাংলাদেশি কাউকে কাউকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কোরিয়ায় বাংলাদেশের মতো আত্মীয়-প্রতিবেশীর বাড়িতে সেমাই, ফিরনি-পোলাও-মাংস খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ ইচ্ছে করলেই গরু, মহিষ কিংবা ছাগল ভেড়া জবাই করে কোরবানি দিতে পারেন না। আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও প্রক্রিয়াগত বিভিন্ন জটিলতার কারণে এখানে কোরবানি করা প্রায় অসম্ভব। ফলে ঈদের আনন্দ এই দূর প্রবাসে নেই বললেই চলে। তবে বড় বড় শহরে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কোরবানি দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই জটিলতা এড়াতে একাই খাসি বা বকরি কোরবানি করেছেন। দেগু শহরের কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. আবদুল লতিফ সরকার। তিনি বললেন, এখানে পরিবার নিয়ে থাকি। কোরবানি দেব বলে পরিচালকের কাছে এক দিনের ছুটি চেয়েছিলাম। কিন্তু ছুটি মঞ্জুর হয়নি। অনেক কষ্টে এক জায়গায় একটা ছাগল কোরবানির জন্য বুকিং দিয়েছি। কিন্তু কোরবানির মাংসের জন্য দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপরও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। উল্লেখ, প্রায় পাঁচ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে মুসলমান এক শতাংশের কম। প্রবাসী মুসলমানই বেশি। মূলত প্রবাসী মুসলমান ও কোরীয় মুসলিম ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগেই বিভিন্ন শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র: প্রথম আলো আর/০৭:১৪/২৫ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2BMIwU4
August 25, 2018 at 03:02PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন