শ্রীলেখা মিত্র। ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন। ৪৩ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। ছোট পর্দা থেকে শুরু করে বড় পর্দা সবর্ত্র তার গ্লামার উপস্থিতি। টালিগঞ্জের প্রাণভোমরা শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে বিতর্ক শব্দটাও যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা হিসেবে নাম লেখালেন তিনি। আর এতেই ঘটলো যতো বিপত্তি। স্তন্যদান সপ্তাহ উপলক্ষে প্রকাশিত হয় ম্যাগাজিনটি। প্রচ্ছদে দেখা গেছে, একটি শিশুকে স্তন্যপান করাচ্ছেন শ্রীলেখা। আর এই ছবিটি প্রকাশের পরেই বিতর্কের শিকার হন কলকাতার নায়িকা। স্তন্যদান নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেও অনেকে এখনো ব্যাপারটিকে সহজভাবে নিতে পারছেন না। সংসদে নিজের সন্তানকে স্তন্যপান করিয়ে নজির গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক নারী সিনেট সদস্য। লারিসা ওয়াটারস নামের ওই সিনেট সদস্য বামপন্থী গ্রিনস পার্টির একজন সদস্য। দেশটিতে তিনিই প্রথম সংসদে বসে সন্তানকে স্তন্যদান করে ইতিহাস গড়েন। এ ছাড়া কিছুদিন আগেই এই কাজটি করেছিলেন মালায়ালাম অভিনেত্রী-মডেল তথা লেখিকা গিলু জোসেফ। মালায়ালাম পাক্ষিক গৃহলক্ষ্মীর প্রচ্ছদে তার স্তন্যদানের ছবি দেখা গিয়েছিল। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। এবার একই কাজ করে হইচই ফেললেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনের জন্য তিনি ফটোশুট করেন, যেখানে এক শিশুকে স্তন্যদান করতে দেখা গিয়েছে তাকে। সেই ছবিটি প্রকাশ পেয়েছে। স্তন্যদান নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতেই এমন কাজে অগ্রসর হন শ্রীলেখা৷ এদিকে এই ছবিটি সামনে আসার পর প্রশংসা পান তিনি। তবে সমালোচনার ঝড়ও কম হয়নি। কটাক্ষের সুরে তারা অভিনেত্রীকে আক্রমণ করেছেন তার ইনস্টাগ্রাম অনুসারীরা। তাদের দাবি, প্রচারণা পেতেই এমন ছবি তুলেছেন শ্রীলেখা৷ এ সম্পর্কে শ্রীলেখাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্তন্যদানের পক্ষপাতী আমি। আর আমার সন্তান জন্মানোর অনেক আগে থেকেই এ নিয়ে আমি পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছিলাম। সমাজ অনেক এগিয়ে এসেছে। দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারা বদলাচ্ছে। সেই কারণেই এই ছবি তুলতে আগ্রহ দেখিয়েছি। শ্রীলেখা আরও বলেন, আমি অনুচিত কাজ করিনি। আমি মনে করি, ভালো কাজ হয়েছে। আর আমি কারও মতামত জানতে চেয়ে কাজ করি না। মনে হয়েছে কাজটা ভালো, তাই করেছি। যারা নোংরা ভাবনা নিয়ে বসে আছে, তারা নোংরা ভাববেই। তাতে সমাজ থমকে থাকবে না। আমি মনে করেছি এটার মাধ্যমে একটা ভালো বার্তা পৌঁছনো যাবে। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/ ৩০ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PiybB6
August 30, 2018 at 06:32PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন