ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শূন্যস্থান পূরণ করতে কখনো নেইমার, কখনোবা কিলিয়ান এমবাপ্পের নাম শোনা গেছে। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের দুই তারকার যেকোনো একজনের জন্য দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড নাকি ভেঙে ফেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এবারের দলবদলে যে অন্তত সেটা হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত। ইউরোপের দলবদলের বাকি আছেই মাত্র দুই দিন। রোনালদোর বিকল্প না হোক, গোলদাতার শূন্যস্থান পূরণ করতে এর মধ্যেই উদ্যোগ নিচ্ছে রিয়াল। নেইমার, এমবাপ্পের মতো সব গুণের গুণীকে (গোল করা, করানো) না পেলে অন্তত হ্যারি কেন, রবার্ট লেবানডফস্কি, মাউরো ইকার্দির মতো গোল স্কোরারদের সঙ্গে রিয়ালের নাম জড়ানো হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বড় তারকাদের কেউ নন। নেইমার-এমবাপ্পের লিগ ওয়ান থেকে মারিয়ানো ডিয়াজকেই দলে টানছে রিয়াল। নামটি অপরিচিত ঠেকলে দোষ দেওয়া যাবে না। একে তো ফুটবলীয় কোনো পরাশক্তি দেশ নয়, ডমিনিকান রিপাবলিকের স্ট্রাইকার। গত মৌসুমটা খেলেছেন লিঁওর হয়ে। একসময় ফ্রেঞ্চ লিগে একাধিপত্য চালানো এই দল এখন ইউরোপে প্রায় অপরিচিত এক নাম। তবে কেন মারিয়ানোকে কিনে আনছে রিয়াল?Eprothomalo কারণটা একটু ব্যাখ্যা করা যাক। ২০১৬-১৭ মৌসুমে রিয়ালের তৃতীয় নম্বর নাইন হিসেবে খেলছেন মারিয়ানো। খুব কমই সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু এর মধ্যেই ৫ গোল ছিল তাঁর। প্রথম কাতালান হিসেবে রিয়ালের জার্সিতে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটাও করে ফেলেছেন সে মৌসুমে। রিয়াল থেকে গত বছর ৮ মিলিয়ন ইউরোতে লিঁওতে গিয়েছিলেন। সেখানে ২১ গোল করে নিজের সামর্থ্যটাও জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মনে মনে সব সময় রিয়ালে ফেরার ইচ্ছাটা ধরে রেখেছেন মারিয়ানো। লিঁওর সঙ্গে আমার পাঁচ বছরের চুক্তি। কিন্তু মাদ্রিদে ফিরতে পারলে অসাধারণ হবে। যদিও গত গ্রীষ্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেখান থেকে বের হলেই ভালো হবে। আমাকে ছেড়ে দেওয়া মাদ্রিদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমার জন্য, ওদের জন্য, লিঁওর জন্য। কিন্তু এটা সত্যি, ভবিষ্যতে আবার ফিরতে পারলে স্বপ্ন পূরণ হবে আমার। কয়েক মাস আগে বলা কথাগুলোই বাস্তব হয়ে আসছে। মারিয়ানো কিনে একসঙ্গে অনেকগুলো পাখি মারতে চাইছে রিয়াল। একে তো রোনালদো চলে যাওয়ায় মৌসুমে যে চল্লিশোর্ধ্ব গোলের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তার অর্ধেক মারিয়ানোর দেওয়ার ক্ষমতা আছে। শীর্ষ কোনো লিগে পূর্ণাঙ্গ কোনো মৌসুমেই ২১ গোল করা সে সক্ষমতার কথাই বলে। এ ছাড়া যেকোনো নতুন খেলোয়াড়ই ক্লাবে এসে মানিয়ে নিতে সময় নেন। মারিয়ানোর ক্ষেত্রে রিয়ালকে এ ঝামেলা পোহাতে হবে না। কারণ, এ ড্রেসিংরুমে এর মধ্যেই এক মৌসুম কাটিয়ে গেছেন। ঐতিহাসিক ডাবল জেতা, টানা অপরাজিত থাকা ও টানা গোল করা দলের অংশ ছিলেন মারিয়ানো। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কাছে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়টি। মারিয়ানোকে কেনার জন্য ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল সেভিয়া। গত মৌসুমে দল বদলের সময় রিয়াল দুটি শর্ত দিয়েছিল। প্রথমত, মারিয়ানোকে পরবর্তী সময়ে বিক্রি করা হলে তার ৩৫ ভাগ অর্থ রিয়াল পাবে এবং রিয়াল চাইলে সে অর্থ দিয়ে নিজেরা কিনে নিতে পারবে (ফার্স্ট রিফিউজাল)। রিয়াল এখন দুটোই কাজে লাগাচ্ছে। সেভিয়ার রাজি হওয়া অর্থেই মারিয়ানোকে ফেরাচ্ছে। ৩৫ ভাগ অর্থ দিতে না হওয়ায় ২২ মিলিয়ন ইউরোতেই মারিয়ানোকে পাচ্ছে। ২০১৯ মৌসুমের জন্য রেখে দেওয়া তহবিলেও হাত দিতে হচ্ছে না রিয়ালকে। এখনই কেন ২০১৯ সালের চিন্তা? কারণ, বাজারে গুঞ্জন, আগামী গ্রীষ্মেই নেইমার চাইলে তাঁকে ছেড়ে দেবে পিএসজি। সে ক্ষেত্রে ব্রাজিলিয়ান তারকার জন্য তহবিল যে এখনই গুছিয়ে রাখতে হবে! পেরেজের জন্য যে নেইমারকে রিয়ালে আনা এখন মর্যাদার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! সূত্র: প্রথম আলো আর/১০:১৪/২৯ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2wxsg3o
August 30, 2018 at 06:24AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন