ঢাকা, ২৯ আগস্ট- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময়ই জোরালো হয়ে উঠেছিল বিষয়টা। জাতীয় দলে কেবল ৫জন সিনিয়র ক্রিকেটারই পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। জুনিয়ররা মোটেও পারফরম করতে পারছেন না। প্রশ্ন উঠেছিল, সিনিয়ররা আর কত? জুনিয়ররা কবে দলের হাল ধরবে? শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরই নয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে পারফরম্যান্স যা করার করছেন সিনিয়ররাই। বল কিংবা ব্যাট হাতে- সিনিয়ররা ভালো করলেই দল ভালো করছে। সিনিয়ররা খারাপ করলে দল খারাপ করছে। খুব কদাচিত জুনিয়ররা ভালো পারফরম্যান্স করছেন। তবে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিতে এসে বাংলাদেশ দলের উদীয়মান ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার দাবি করলেন, যেমনটা বলা হচ্ছে, ততটা খারাপ নাকি তারা করেননি। হয়তো ১৯-২০ হয়নি। ১৮-২০ হয়েছে। তাই বলে এত খারাপ তো তারা করেননি। অথচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই দেখা গেছে নিয়মিতই রান করে গেছেন তামিম ইকবাল। নিয়মিত উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে সিরিজে নিয়মিতই সেরা বোলিং করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটে-বলে সেরা পারফরমার ছিলেন সাকিব। শেষ ম্যাচে কেবল লিটন দাস দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন। এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে আজ সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে সৌম্য দাবি করে বলেন, জুনিয়ররা পারফরম্যান্স যে একেবারেই করে না, তা না; কিন্তু ওদের (সিনিয়রদের) তুলনায় আমরা অনেক কম করেছি, এটা ঠিক। আমাদের পারফরম্যান্স ১৯-২০ থাকলে হয়তো কথাটা আসতো না যে জুনিয়ররা খারাপ করছে। আমরা হয়তো এই মুহূর্তে ১৮-২০-এ আছি। তাই আমরা যদি ভালো পারফরম্যান্স করি তাহলে তাদেরও ভাল হবে, আমাদেরও। তাহলে তরুণদের সামনে চ্যালেঞ্জ কতটুকু? জানতে চাইলে সৌম্য বলেন, তরুণদের তো সবসময়ই চ্যালেঞ্জ থাকে। কেননা সিনিয়ররা সবসময় পারফর্ম করে, আমরাও যদি করি তাহলে ফলাফল আনতে সুবিধা হবে। ওদের পাঁচজনের সাথে আমরা যদি দিনকে দিন একটু একটু করেও পারফর্ম করি তাহলেও ফলাফল ভালো হবে। এশিয়া কাপের জন্য ব্যক্তিগত অনুশীলন করছেন কি না? সৌম্য বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তো অবশ্যই কাজ করেছি। কোচের সাথে তো অনুশীলন হচ্ছেই, এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে স্কিলের অনুশীলন করছি। আমার যেখানে ঘাটতি আছে মনে হয়, যেখানে আমি আউট হচ্ছি; সেটা নিয়ে যতটুক সময় পাচ্ছি অনুশীলন করে যাচ্ছি। কি অনুশীলন করছেন? রোডসের কাজ করার ধরণ কেমন? সৌম্য বলেন, আমার মনে হয়, এক এক জনের বলার ধরণ বা এক এক জনের নেওয়ার ধরণ এক এক রকম থাকে। রোডস অবশ্যই আলাদা, আমরা যেভাবে করতাম তা থেকে। একটা সেকেন্ডও যদি কমানো যায়, মানে আমরা যদি ওইভাবে দৌড়াতে পারি, তাহলে কিন্তু রানআউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তো এসব নিয়েই আমরা অনুশীলন করছি। নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে কি না কিংবা নিচের দিকে যদি নামিয়ে দেয়া হয় তাহলে কেমন সুবিধা হয়? জানতে চাইলে সৌম্য বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমি যেখানে খেলে দলকে জেতাতে পারি বা দলকে সাহায্য করতে পারি তাহলেই হল। তাই আমি ওপেন করি বা সাতে খেলি, আমার কাজ হবে পারফরম করা। আর আমি পারফরম করলে দলেরও সাহায্য হবে। এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না, আপনাদের কাছেই শুনলাম (হাসি..)। তো যদি ওখানে আমাকে খেলতে হয়, তাহলে আমি চেষ্টা করব পরিস্থিতি বুঝে খেলার। সৌম্য তো বোলিংও করেন। মিডিয়াম পেস। নিয়মিত বোলিং করতে চান কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বল তো সবসময়ই করি। আমি যখন শুরুতে জাতীয় দলে খেলেছিলাম তখন দুইজন বা একজন করে পেস বোলার খেলত। এখন তিনজন নিয়মিতই খেলে। এজন্যই হয়তো এখন বোলিংয়ের সুযোগ হয় না নিয়মিত। এখন যখনই খেলি সবসময় বোলিংয়ের জন্য রেডি থাকি। সবসময়ই কষ্ট করি। আমার বোলিং দিয়েও দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করি আরকি। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১০:১৪/২৯ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NuT2AN
August 30, 2018 at 04:31AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top